মেসির পরা আলখাল্লা নিয়েই এ বার বিতর্ক। —ফাইল চিত্র
লিয়োনেল মেসির গায়ে আলখাল্লা পরানো ফিফার নিয়মবিরুদ্ধ ছিল। ফিফার যে নিয়ম রয়েছে, সেটা অনুযায়ী জার্সি পরেই ট্রফি নিতে হত মেসিকে। কিন্তু আর্জেন্টিনার অধিনায়ককে আলখাল্লা পরিয়ে দিয়েছিলেন কাতারের রাজা। সেটা পরেই বিশ্বকাপ হাতে নেন মেসি। যা ফিফার নিয়মে করা যায় না।
ফিফার নিয়ম কী বলছে? ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা বলছে, ফিফার প্রতিযোগিতার ফাইনালে ফুটবলাররা উৎসবের জন্য আলাদা কোনও পোশাক তখনই পরতে পারবেন, যখন ফিফা কর্তাদের সমস্ত কাজ হয়ে যাবে। অর্থাৎ, ম্যাচের জার্সি ছাড়া অন্য কিছু পরে ট্রফি নেওয়া সম্ভব নয়। কারণ ফিফা কর্তারা তখনও বিশ্বকাপ হাতে তুলে দেননি। ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ানি ইনফান্তিনো নিজের হাতে মেসিকে বিশ্বকাপ তুলে দিয়েছিলেন। সেই সময় মেসির গায়ে ছিল সেই আলখাল্লা।
কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে ট্রফি দেওয়ার আগে মেসিকে কেন আলখাল্লা পরালেন রাজা শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে কৌতূহল। সাধারণত উল দিয়ে এই আলখাল্লা তৈরি করা হয়। সাদা, ক্রিম, কালো, বাদামি, ধূসর বিভিন্ন রঙের হয়। পোশাকের উপরে এই আলখাল্লা পরেন আরব দেশগুলির পুরুষেরা। আরবি ভাষায় এই আলখাল্লাকে বলা হয় ‘বিশ্ত’। ফার্সি থেকে এসেছে শব্দটি। কোনও অনুষ্ঠান, বিয়ে, উৎসব বা বিশেষ দিনে এই আলখাল্লা পরা আবর দেশগুলির পুরনো রেওয়াজ। আরব দেশগুলির পুরুষদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক এটি।
এই আলখাল্লা আরব দেশগুলির আভিজাত্যের প্রতীক বলেও মনে করেন অনেকে। বিশ্ত পরিয়ে সম্মান জানানোর প্রথা রয়েছে কাতারে। যেমন আমাদের দেশে উত্তরীয় দিয়ে সম্মানিত করা হয়। মেসিকে সম্মান জানানোর জন্যই রাজা এই পোশাক পরিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু তা ফিফার নিয়মবিরুদ্ধ। যদিও এর ফলে মেসিকে শাস্তি দেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই, কারণ ফিফার অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্টের সামনেই এটি হয়েছে। ফিফা অনুমতি দিয়েছে বলেই পরানো হয়েছে ওই আলখাল্লা।