নেমার ছাড়াও ব্রাজিলে রয়েছেন জেসুস, রিচার্লিসনরা। ফাইল ছবি
রাশিয়া বিশ্বকাপে অনেক আশা জাগিয়েও ব্যর্থ হয়েছিল ব্রাজিল। কোয়ার্টার ফাইনালে বেলজিয়ামের কাছে হেরে শেষ হয়ে যায় স্বপ্ন। তার পর অনেক জল বয়ে গিয়েছে অ্যামাজন দিয়ে। ব্রাজিলের সেই দলের অর্ধেকও কাতারে যাচ্ছেন না। গোটা দলের খোলনলচে বদলে ফেলা হয়েছে। দলে তারুণ্যের আধিক্য। ন’জন ফরোয়ার্ড নিয়ে বিশ্বকাপে যাচ্ছে ব্রাজিল, যাঁরা প্রত্যেকেই ক্লাবের হয়ে দুর্দান্ত খেলেছেন। এ বার বিশ্বমঞ্চে তারকা হয়ে ওঠার অপেক্ষায়। সঙ্গে নেমার তো আছেনই। যদি এটা তাঁর শেষ বিশ্বকাপ হয়, নিশ্চয়ই জ্বলে উঠতে চাইবেন।
সূচি
২৪ নভেম্বর বনাম সার্বিয়া (রাত ১২.৩০)
২৮ নভেম্বর বনাম সুইৎজারল্যান্ড (রাত ৯.৩০)
২ ডিসেম্বর বনাম ক্যামেরুন (রাত ১২.৩০)
পরিকল্পনা
মারিয়ো জাগালোর পর ব্রাজিলের প্রথম কোচ হিসাবে টানা দু’টি বিশ্বকাপে যাচ্ছেন তিতে। গত বারের ব্যর্থতার পর প্রত্যাশা স্বাভাবিক ভাবেই বেশি। পাঁচ বারের বিশ্বজয়ীরা কি ষষ্ঠ বার ট্রফি ঘরে তুলতে পারবে? উত্তর সময়ই দেবে। কিন্তু কোচকে নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। ব্রাজিল সম্ভবত গোটা ফুটবলবিশ্বের একমাত্র দল, যারা কোনও দিন বিদেশি কোচের অধীনে খেলেনি। তিতের সবচেয়ে বড় গুণ হল, অভিজ্ঞ এবং তরুণদের মধ্যে কী ভাবে ভারসাম্য রাখতে হবে সেটা তিনি ভালই জানেন। বিশ্বাসযোগ্যতাও রয়েছে। সাজঘর মাতিয়ে রাখতে পারেন। তাঁর অধীনে ৭৬টি ম্যাচের ৫৮টিতেই জিতেছে ব্রাজিল। ম্যাচের প্রয়োজন অনুযায়ী চট করে কৌশল বদলাতে পারে। ২০১৮-র থেকেই একাধিক ফর্মেশনে খেলেছে ব্রাজিল। দলে একাধিক ফরোয়ার্ড থাকায় আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলার সম্ভাবনা। নেমারকে কেন্দ্র করেই হবে যাবতীয় আক্রমণ। তবে নেমারের উপর দল নির্ভরশীল নয়। নেমারকে আটকে দেওয়া হলে গোল করার জন্য অনেকে রয়েছেন। বল পায়ে রেখে খেলাই লক্ষ্য ব্রাজিল। আক্রমণে ঘন ঘন উঠতে পারেন দুই সাইডব্যাক এবং উইঙ্গাররা। দক্ষতা এবং শিল্প তাঁদের জন্মগত।
The giants of the game are about to descend on Doha #FIFAWorldCup pic.twitter.com/XFs8Dua1rY
— FIFA World Cup (@FIFAWorldCup) November 14, 2022
প্রধান ফুটবলার
অবশ্যই নেমার। ২০১১-য় অভিষেকের পর থেকে অনেক কিছুই বদলেছে তাঁর জীবনে। উত্থান-পতন দেখেছেন। দেশের হয়ে সাফল্যও রয়েছে। কিন্তু ৩০ বছর বয়সে এ বার তাঁর থেকে কিছু চাইছে ব্রাজিল। পরের বিশ্বকাপে খেলবেন কি না, জানেন না। খেললেও বয়স অনেক বাড়বে। তাই ট্রফি হাতে তোলার এটাই নেমারের কাছে শেষ সুযোগ। ক্লাবস্তরে প্রায় সব ট্রফিই জিতেছেন। বিশ্বকাপটা তোলা বাকি।
বিশ্বকাপের ইতিহাস
পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়ন। সব দেশের থেকে বেশি। শেষ বার এশিয়ায় বিশ্বকাপ হওয়ার সময় (২০০২, কোরিয়া-জাপান) ব্রাজিলই জিতেছিল। এ বার কি ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হবে?
পুরো দল
গোলরক্ষক: অ্যালিসন, এডেরসন, ওয়েভারটন
ডিফেন্ডার: মারকুইনহোস, মিলিটাও, থিয়াগো সিলভা, দানিলো, টেলেস, দানি, স্যান্দ্রো, ব্রেমার
মিডফিল্ডার: ফ্যাবিনহো, কাসেমিরো, গুইমারায়েস, ফ্রেড, লুকাস পাকুয়েতা, এভার্টন
ফরোয়ার্ড: মার্টিনেল্লি, ভিনিসিয়াস, নেমার, অ্যান্টনি, রদ্রিগো, রাফিনহা, রিচার্লিসন, পেদ্রো, জেসাস
কোচ- তিতে
সম্ভাব্য একাদশ: (৪-২-৩-১) অ্যালিসন, দানিলো, থিয়াগো সিলভা, মারকুইনহোস, টেলেস, কাসেমিরো, ফ্রেড, রাফিনহা, নেমার, ভিনিসিয়াস, রিচার্লিসন।