ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বিশ্বকাপের পদক রক্ষা করতে বিরাট অর্থে একটি শিকারি কুকুরকে কিনেছেন মার্তিনেস। ফাইল ছবি
বিশ্বকাপ জয়ের পর দেশে ফিরে উৎসব সেরে আবার ইংল্যান্ডে ফিরে এসেছেন আর্জেন্টিনার গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেস। যদিও টটেনহ্যাম হটস্পারের বিরুদ্ধে অ্যাস্টন ভিলার ম্যাচে সুযোগ পাননি। তার মাঝেই অন্য একটি কারণে শিরোনাম কেড়ে নিয়েছেন মার্তিনেস। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বিশ্বকাপের পদক রক্ষা করতে বিরাট অর্থে একটি শিকারি কুকুরকে কিনেছেন মার্তিনেস। যেখানে তিনি থাকেন, সেই মিডল্যান্ডসে বিশ্বকাপের পদক এবং তাঁর পরিবারের পাহারার দায়িত্বে থাকবে সেই কুকুরটি।
যে কুকুরটি মার্তিনেস কিনেছেন, তা বেলজিয়ান শেফার্ড গোত্রের। অতীতে আমেরিকার সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধক্ষেত্রে যাওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। কাজ করেছে ‘স্যাস’ সংস্থার সঙ্গেও। এই ধরনের কুকুরের ঘ্রাণশক্তি মারাত্মক। পাশাপাশি, কোনও রকম বিপদ দেখলে সঙ্গে সঙ্গে সতর্ক করে দিতে পারে। শত্রু দেখলে তাকে আক্রমণ করতেও জুড়ি নেই। মার্তিনেস যে কুকুরটি কিনেছেন, তার দাম ২০ হাজার পাউন্ড বা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২০ লক্ষ টাকা। ওজন ৩০ কেজি।
পশ্চিম মিডল্যান্ডসে থাকেন মার্তিনেস। ইংল্যান্ডের একটি সংস্থা থেকে তিনি কুকুরটিকে কিনেছেন। সাধারণত সেনাবাহিনীর হয়ে কাজ শেষ হয়ে গেলে ব্যক্তিগত ভাবে কেউ শিকারি কুকুরদের কিনতে পারেন। মার্তিনেসও সে ভাবেই কিনেছেন। সাম্প্রতিক কালে ইংল্যান্ডে বসবাসকারী বিভিন্ন ফুটবলারদের বাড়ি আক্রান্ত হয়েছে। বিশ্বকাপ চলার মাঝেই ইংরেজ ফুটবলার রহিম স্টার্লিংয়ের বাড়ি চুরি করতে ঢুকেছিল কিছু দুষ্কৃতী। পরিবারের পাশে থাকতে কিছু দিনের জন্যে দেশে ফিরে যান তিনি।
আর্সেনালের কোচ মিকেল আর্তেতা এবং ফ্রান্সের গোলকিপার হুগো লরিসের বাড়ি পাহারার দায়িত্বে এই ধরনের কুকুর রয়েছে। দুই প্রাক্তন ইংরেজ ফুটবলার অ্যাশলে কোল এবং জ্যাক উইলশেয়ারও এই সংস্থার থেকে কুকুর কিনেছেন।
এ দিকে, রবিবার হতে পারত এমিলিয়ানো মার্তিনেস বনাম হুগো লরিসের লড়াই। কিন্তু কোথায় কী? আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী গোলরক্ষক মার্তিনেসকে প্রথম একাদশে রাখলেনই না অ্যাস্টন ভিলার কোচ উনাই এমেরি। বদলে সুইডেনের গোলরক্ষক রবিন ওলসেনকে নামালেন তিনি। বিশ্বকাপের সেরা গোলরক্ষকের উপর ভরসা দেখালেন না কোচ। তা হলে কি ক্লাবে তাঁর জায়গা নড়বড়ে!
মার্তিনেসের সঙ্গে সম্পর্ক খুব একটা ভাল নয় অ্যাস্টন ভিলার। তাঁকে তাড়াতে হঠাৎই সক্রিয় হয়ে উঠেছে তাঁর ক্লাব। বিশ্বকাপ জয়ের পর থেকে বিভিন্ন বিতর্কে জড়িয়ে পড়া এই গোলকিপারকে রাখতে চাইছেন না কোচ। জানুয়ারিতে ট্রান্সফার উইন্ডো শুরু হলেই তাঁকে বিক্রি করে দেওয়া হতে পারে। এমন খবরই প্রকাশ্যে এনেছে ইউরোপের ফুটবলে ট্রান্সফার সংক্রান্ত খবরের সবচেয়ে বড় সংস্থা ‘ফিকাজেস’।