যুবভারতী স্টেডিয়াম। ছবি: এক্স।
এ যেন এক অচেনা ডার্বি।
ম্যাচের আগে যুবভারতী স্টেডিয়ামের মেন গেটের বাইরে শেষ মুহূর্তে টিকিটের যে আবদার দেখা যায়, তা নেই শুক্রবার। ইতিউতি সমর্থকদের জিজ্ঞাসা করা নেই, ‘দাদা, একটা টিকিট হবে?’ টিকিটের কালোবাজারিও রাতারাতি উধাও। কলকাতা ডার্বির আগে শেষ কবে এমন দৃশ্য দেখা গিয়েছে মনে করা যাচ্ছে না। ঠিক কী কারণে এমনটা হয়েছে তা স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না ঠিকই। কিন্তু এ রকম যে হতে পারে তার একটা আন্দাজ ছিলই।
কিছু দিন আগেই সুপার কাপে মুখোমুখি হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান। দুই প্রধানের খেলা দেখতে পড়শি রাজ্যে গিয়েছিলেন হাজার হাজার সমর্থক। ঠিক ১৫ দিন পর আর একটা ডার্বি হওয়াতেই কি উৎসাহ হারিয়েছেন শহরের ফুটবলপ্রেমীরা? ম্যাচ শুরুর পাঁচ মিনিট আগে দেখা গেল, মোহনবাগান গ্যালারি তুলনামূলক ভাবে অনেকটাই ভর্তি। সুপার কাপ বদলা দেখার আশায় সবুজ-মেরুন সমর্থকেরা অনেকেই এসেছেন। কিন্তু সাধারণ ভাবে তার থেকে অনেক বেশি সমর্থক মাঠে আসেন খেলা দেখতে। মোহনবাগানের গ্যালারির নীচের সারি (লোয়ার টায়ার) কার্যত ফাঁকাই দেখিয়েছে। আপার টায়ারের অবস্থাও খুব ভাল নয়।
ইস্টবেঙ্গল গ্যালারির অবস্থা আরও খারাপ। মোহনবাগানের থেকেও তাদের দর্শকসংখ্যা বেশ কম। সম্প্রচারকারী চ্যানেল গ্যালারির নির্দিষ্ট একটি অংশ দেখানো হলেও সেখানে ফাঁকা আসন এড়ানো যাচ্ছিল না। কিছু দিন আগে যে দলটা সুপার কাপ জিতে ১২ বছরের খরা কাটিয়েছে, তাদের গ্যালারির এ রকম দশা দেখে অবাক অনেকেই। আয়োজকদের দাবি, ইস্টবেঙ্গল গ্যালারির অনেক টিকিট ম্যাচের দিন সকালেও পড়েছিল।
ডার্বির এই দর্শকসংখ্যা নিয়ে অনেকেই নিজেদের মত জানাচ্ছেন। কেউ বলছেন, ১৫ দিনের ব্যবধানে পর পর দুটো ডার্বি হওয়ায় আগ্রহ হারিয়েছেন সমর্থকেরা। তাই দর্শকেরা মাঠে আসেননি। অনেকে তুলে আনছেন টিকিটের দাম। সবচেয়ে কম দামি টিকিট ছিল ২০০ টাকার। সেটাও ছিল সংখ্যায় বেশ কম। ৩০০ এবং ৫০০ টাকার টিকিট অনেক আগেই বিক্রি হয়ে গিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। তবে মাঠের দৃশ্য তার প্রমাণ দিল না।
এর মধ্যেই জানা গিয়েছে, ডার্বি দেখতে মাঠে আসেননি ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কর্তারা। যে সংখ্যায় ভিভিআইপি টিকিট চাওয়া হয়েছিল তা নাকি পাওয়া যায়নি। সে জন্যেই তাঁরা ক্লাবে বসে খেলা দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।