Emami East Bengal

ATK Mohun Bagan: প্রচুর ভুল হচ্ছে স্বীকার করছেন, তবু ডার্বি নিয়ে কোনও চিন্তাই নেই ফেরান্দোর

ডুরান্ডে কোনও ম্যাচ না জিতে ইমামি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে নামছে এটিকে মোহনবাগান। তার আগে কথা বললেন দলের কোচ।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ অগস্ট ২০২২ ১৫:৩৭
চিন্তায় নেই ফেরান্দো।

চিন্তায় নেই ফেরান্দো। ছবি টুইটার

লাল-হলুদের বিরুদ্ধে শেষ ছ’বার সাক্ষাতে পাঁচ বার জিতেছে এটিকে মোহনবাগান। শেষ পাঁচ ম্যাচেই ‌এসেছে জয়। ফলে রবিবার যুবভারতীতে ইমামি ইস্টবেঙ্গলকে হারাতে পারলে ডার্বিতে টানা আধ ডজন জয়ের রেকর্ড করে ফেলবে সবুজ-মেরুন। আড়াই বছর বাদে কলকাতায় ডার্বি ফেরার পর তা সমর্থকদের কাছে দুর্দান্ত একটা উপহার হবে বলে মনে করছেন অনেকে।

তবে দলের অন্দরে একেবারেই এ নিয়ে ভাবনা নেই। ডুরান্ড কাপে কোনও ম্যাচ না জিতেই খেলতে নামছে এটিকে মোহনবাগান। তাতেও দল বেশ ফুরফুরে। শনিবার রুদ্ধদ্বার অনুশীলনে সাধারণ জিনিসগুলির উপরেই জোর দিলেন কোচ জুয়ান ফেরান্দো। ডুরান্ডে প্রচুর গোল নষ্ট করছে তাঁর দল, যার খেসারত দিতে হয়েছে। তাই ডার্বির দিন বক্সে যাতে কোনও ভুল না হয়, সেটাই বার বার করে বোঝাচ্ছেন লিস্টন কোলাসো, মনবীর সিংহদের।

Advertisement

এটিকে মোহনবাগান মিডিয়া টিমকে ফেরান্দো বলেছেন, “ডার্বি নিয়ে আমার বা দলের কোনও চাপ নেই। শেষ দুটো ম্যাচে জিততে পারিনি বলে হতাশ লাগলেও চিন্তিত নই। কারণ গোলের সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে জিততেও পারতাম। খারাপ খেললে বা গোলের সুযোগ তৈরি করতে না পারলে চাপ থাকত। একটা অনুশীলন ম্যাচ খেলে নেমে পড়েছি ডুরান্ডে। দল সবে তৈরি হয়েছে। কিছু ভুলত্রুটি হচ্ছে। তবে ডার্বিতে হবে না সেটাই আশা করি।”

প্রতিপক্ষ ইমামি ইস্টবেঙ্গলকে সমীহ করছেন ফেরান্দো। বলেছেন, “ওরা যথেষ্ট শক্তিশালী দল। কয়েকটা খেলা দেখেছি। ভারসাম্য রয়েছে। বিদেশিরাও ভাল। আশা করছি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। ডার্বিতে কেউ কখনও এগিয়ে থাকে না। আমরাও নেই। এটুকু বলতে পারি, ছেলেদের সবাই ডার্বি খেলার জন্য মুখিয়ে রয়েছে। অনেকেরই ডার্বি খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। ওদের কাছে কোনও চাপ নেই।”

মিডফিল্ডার জনি কাউকো বলেই দিয়েছেন, ইমামি ইস্টবেঙ্গলের কোনও ম্যাচই তিনি দেখেননি। বলেছেন, “ওদের নিয়ে ভাবার কোনও কারণ নেই। কোনও ম্যাচও দেখিনি। কোচ আছেন আমাদের সাহায্য করার জন্য। ব্যক্তিগত ভাবে আমি নিজের সেরাটা দেওয়ার জন্যে তৈরি। ডার্বির গুরুত্ব আমি জানি। সমর্থকরা বার বার এই ম্যাচের জেতার কথা বলেছে। এ বার মাঠভর্তি সমর্থক থাকবে। এটাই আলাদা অনুপ্রেরণা জোগাবে।”

দীর্ঘ দিন ধরে ডার্বি খেলছেন প্রীতম কোটাল। তিনি বলেছেন, “বাংলার ছেলে হিসাবে এ ধরনের ম্যাচ খেলা আলাদা আবেগের। সমর্থকদেরও একই আবেগ রয়েছে। ওঁরা যাতে ম্যাচের পর হাসিমুখে আনন্দ করতে করতে বাড়ি ফিরতে পারেন সেই চেষ্টাই করব। ওরাই আমাদের দ্বাদশ ব্যক্তি। আগের দুটো ম্যাচে ভুল হয়েছে জানি। কিন্তু ডার্বি জিতলেই সবাই সব ভুলে যাবে। নিজেদের একশো শতাংশ উজাড় করে দেব আমরা।”

আরও পড়ুন
Advertisement