কলম্বিয়ার দক্ষিণ দিকের একটি প্রদেশের গভর্নর ঠিক করেছেন, সেই অঞ্চলের একটি স্টেডিয়ামের নাম রাখা হবে পেলের নামে। ফাইল ছবি
শুরুটা করেছিল কেপ ভার্দে। এ বার এগিয়ে এল কলম্বিয়া। পেলের নামে একটি স্টেডিয়ামের নামকরণ করল তারা। প্রয়াত ব্রাজিলীয় কিংবদন্তির অন্ত্যেষ্টিতে হাজির হয়ে ফিফা সভাপতি প্রতিটি সদস্য দেশকে অনুরোধ করেছিলেন পেলের নামে একটি স্টেডিয়ামের নামকরণের জন্য। এই নিয়ে এগিয়ে এল দু’টি দেশ। তবে উচ্চবাচ্য নেই লিয়োনেল মেসির দেশ আর্জেন্টিনার।
কলম্বিয়ার দক্ষিণ দিকের একটি প্রদেশের গভর্নর ঠিক করেছেন, সেই অঞ্চলের একটি স্টেডিয়ামের নাম রাখা হবে পেলের নামে। জুয়ান গিলের্মো জুলুয়াগে নামে ওই গভর্নর জানিয়েছে, ভিলাভিসেনসিয়ো শহরের একটি স্টেডিয়ামকে এ বার থেকে ডাকা হবে ‘বেলো হরিজন্তে রেই পেলে’ নামে। রেই পেলের শব্দের অর্থ রাজা পেলে। স্প্যানিশ ভাষায় বেলো হরিজন্তের অর্থ সুন্দর আকাশ। গভর্নর জুলুয়াগা বলেছেন, “পেলে কে ছিলেন, সেটা জানা দরকার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের।”
১৯৫৮ সালে এই স্টেডিয়ামটি উদ্বোধন করা হয়। ১৫ হাজার দর্শক বসতে পারেন এই স্টেডিয়ামে। দ্বিতীয় ডিভিশনের ক্লাব লানেরোস এই মাঠটি ব্যবহার করে। ব্রাজিলের উত্তর-পূর্বের শহর মাসেইয়োর একটি স্টেডিয়াম অনেক দিন ধরেই রয়েছে পেলের নামে। প্রতিবেশী দেশ আর্জেন্টিনা বা ইউরোপের কোনও দেশ এখনও এ ব্যাপারে কোনও কথা বলেনি।
গত সোমবার পেলেকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে ইনফান্তিনো বলেন, “বিশ্বের সব ফুটবল খেলিয়ে দেশকে আমরা বলব তাদের দেশের একটি স্টেডিয়ামের নাম পেলের নামে রাখতে।” ২৪ ঘণ্টা জেগে পেলেকে সম্মান জানিয়েছে ব্রাজিল। স্যান্টোসের ভিলা বেলমিরো স্টেডিয়ামে রাখা ছিল পেলের মরদেহ।
পেলের মরদেহে সম্মান জানিয়ে ইনফান্তিনো বলেছিলেন, “এখানে সকলেই শোকার্ত। পেলে গোটা বিশ্বের কাছেই ফুটবলের বৈগ্রহীক।” পেলের জন্য ফিফা তাদের পতাকা অর্ধনমিত করে রেখেছিল গত শুক্রবার। গত সোমবার থেকে যে শ্রদ্ধা জানানো চলছে, তা শেষ হয়েছে মঙ্গলবার।
পেলেই এক মাত্র ফুটবলার, যিনি তিন বার বিশ্বকাপ জিতেছেন। ফিফা তাঁকে বিশ শতকের সেরা ফুটবলার বলে ঘোষণা করেছিল। দীর্ঘ দিন ধরে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছিলেন পেলে। ৩০ ডিসেম্বর মৃত্যু হয় তাঁর।