গোলের পরে উল্লাস লিয়োনেল মেসির। ছবি: রয়টার্স
ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে থামানো যাচ্ছে না লিয়োনেল মেসিকে। চার ম্যাচে সাতটি গোল করে ফেললেন তিনি। লিগস কাপের শেষ ষোলোর ম্যাচে ডালাসের বিরুদ্ধেও জোড় গোল করলেন মেসি। তার মধ্যে একটি খেলা শেষ হওয়ার ৫ মিনিট আগে। সমতাসূচক গোল। ফ্রি কিক থেকে সেই গোল না করতে পারলে টাইব্রেকারে খেলা গড়াত না। আর মেসিদের ম্যাচ জেতাও হত না।
ম্যাচ শুরু হওয়ার ৭ মিনিটের মাথাতেই মায়ামিকে এগিয়ে দেন মেসি। বক্সের বাইরে থেকে মেসির বাঁ পায়ের শট বাঁচাতে পারেননি বিপক্ষ গোলরক্ষক। শুরুতেই এগিয়ে গেলেও প্রথমার্ধেই জোড়া ধাক্কা খেতে হয় মায়ামির রক্ষণকে। ৩৭ মিনিটের মাথায় ফাকুন্ডো কুইগনোন ও ৪৫ মিনিটে বের্নার্ড কামুনগো গোল করে ডালাসকে এগিয়ে দেন।
দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান আরও বাড়িয়ে নেয় ডালাস। ৬৩ মিনিটের মাথায় ফ্রি কিক থেকে বক্সের মধ্যে বল পেয়ে ডিফেন্ডারদের মাটি ধরিয়ে গোল করতে ভুল করেননি অ্যালান ভেলাস্কো। দেখে মনে হচ্ছিল, এই ম্যাচ বোধহয় একার ক্ষমতায় জেতাতে পারবেন না মেসি। যদিও ২ মিনিট পরেই মায়ামিকে অক্সিজেন দেন বেঞ্জামিন ক্রেমাস্চি। অবশ্য ৩ মিনিট পরে মেসির দলকে চাপে ফেলে দেন রবার্ট টেলর। এত দিন মায়ামির হয়ে গোল করছিলেন তিনি। এই ম্যাচে মায়ামির জালেই বল জড়িয়ে দেন। তাঁর আত্মঘাতী গোলে ৪-২ এগিয়ে যায় ডালাস।
তখনও নাটকের বাকি ছিল। ৮০ মিনিটে আত্মঘাতী গোল করেন ডালাসের মার্কো ফার্হান। তার ৫ মিনিট পরেই বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ের বাঁক খাওয়ানো শটে গোল করেন মেসি। গোলরক্ষক ঝাঁপিয়েও কিছু করতে পারেননি। সেই অনবদ্য মেসির জাদু। এই রকম গোল হয়তো তিনি আগে অনেক বার করেছেন, কিন্তু বার বার দলের ত্রাতা হয়ে ওঠা ক’জনের পক্ষে সম্ভব হয়। ৪-৪ খেলা শেষ হয়। ফলে ফয়সালা হয় টাইব্রেকারে।
টাইব্রেকারেও মায়ামির হয়ে প্রথম শট নিতে যান মেসি। গোলও করেন। বলে জাল জড়াতে ভুল করেননি সের্খিয়ো বুস্কেৎসও। ডালাসের হয়ে দ্বিতীয় পেনাল্টি ফস্কান পমিকাল। সেটাই কাল হল। আর ফিরতে পারেননি তাঁরা। ৩-৫ টাইব্রেকারে হেরে ম্যাচ হারে ডালাস। অন্য দিকে আমেরিকার ক্লাবে যোগ দেওয়ার পরে টানা চার ম্যাচে দলকে জেতালেন সেই মেসি।