বদ্রু (সমর) বন্দ্যোপাধ্যায়
মোহবাগান মাঠে শনিবার সদ্য প্রয়াত ১৯৫৬ সালে মেলবোর্ন অলিম্পিক্সে চতুর্থ হওয়া ভারতীয় দলের অধিনায়ক বদ্রু (সমর) বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামাঙ্কিত প্রবেশদ্বারের উদ্বোধন করলেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। ছিলেন সুব্রত ভট্টাচার্য, প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, অলোক মুখোপাধ্যায়, মানস ভট্টাচার্য, বলাই দে, বিদেশ বসু, সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়-সহ একঝাঁক প্রাক্তন ফুটবলারও।
প্রবেশদ্বার উদ্বোধনের পাশাপাশি স্মরণসভাও হয়। মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত বলেন, ‘‘বদ্রু বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো কিংবদন্তিকে সম্মানিত করতে পেরে আমরা গর্বিত। এই রাস্তা দিয়ে মানুষ যখন যাবেন, তখন চুনী গোস্বামী, বদ্রু বন্দ্যোপাধ্যাদের নামাঙ্কিত প্রবেশদ্বার দেখে গর্বিত হবেন। পরবর্তী প্রজন্মকে এঁদের অবদান ব্যাখ্যা করবেন।’’
এ দিকে, শুক্রবার যুবভারতীর ঘটনার জন্য ডুরান্ড কাপের আয়োজকদের কাছে ক্ষমা চাইল মহমেডান। সংযুক্ত সময়ে শিব শক্তি এন-এর গোলে বেঙ্গালুরু এফসি সমতা ফেরাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন সাদা-কালো শিবিরের সমর্থকরা। মাঠে জলের বোতল, চেয়ার ছোড়েন তারা। ছিঁড়ে ফেলেন বিজ্ঞাপনের ব্যানারও। ম্যাচের পরে শুক্রবার রাতেই ডুরান্ড কাপের আয়োজকরা মহমেডান কর্তাদের সতর্ক করেন। চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই ডুরান্ড কাপের আয়োজকদের কাছে ক্ষমা চাইল মহমেডান। চিঠি দিয়ে তারা জানায়, ‘‘আমরা মহমেডান সমর্থকদের আবেগকে সবসময় সম্মান জানাই। ওঁরা গ্যালারিতে দলেরই প্রতিনিধিত্ব করেন। উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ হলেও আবেগকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। তবে শুক্রবারের ঘটনার জন্য আরও এক বার সমর্থকদের তরফে ডুরান্ড কাপের আয়োজকদের কাছে ক্ষমা চাইছি। প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য সতর্ক থাকব।’’
ভাইচুংয়ের ক্ষোভ: সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচনে কল্যাণ চৌবের কাছে শুক্রবারই হেরে গিয়েছিলেন ভাইচুং ভুটিয়া। চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই ফেডারেশনের নির্বাচনে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের অভিযোগ করলেন ভাইচুং।