গোলের পর উচ্ছ্বাস ইউলিয়ান আলভারেসের। পিছনে লিয়োনেল মেসি। ছবি: রয়টার্স।
আর্জেন্টিনা - ২ (আলভারেস এবং মার্তিনেস)
কানাডা - ০
কাতারে বিশ্বকাপ জয়ের পর এই প্রথম কোনও বড় প্রতিযোগিতা খেলতে নামল আর্জেন্টিনা। লিয়োনেল মেসির দেশ কোপা আমেরিকায় শুরুটা করল জয় দিয়েই। কানাডাকে ২-০ গোলে হারিয়ে দিল আর্জেন্টিনা।
শুক্রবার ভোরে অনেকেই তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠেছিলেন আর্জেন্টিনার খেলা দেখার জন্য। কিন্তু টিভিতে কোপা আমেরিকা দেখা গেল না। কোনও চ্যানেলই সম্প্রচার করেনি মেসিদের খেলা। হতাশ হয়ে শুধু স্কোরের দিকেই নজর রেখেছিলেন অনেকে। আর্জেন্টিনা ভক্তেরা ম্যাচ শেষে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন। কোপায় জয় দিয়েই শুরু হল তাদের প্রিয় দলের যাত্রা। প্রথমার্ধে গোলশূন্য থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোল করেন ইউলিয়ান আলভারেস। ম্যাচের শেষ দিকে মেসির পাস থেকে গোল করে ব্যবধান বৃদ্ধি করেন লাউতারো মার্তিনেস।
৪৯ মিনিটে প্রথম গোল পায় আর্জেন্টিনা। অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টারের পাস বক্সের মধ্যে পান আলভারেস। তাঁর ডান পায়ের মাটি ঘেঁষা শটে বল জালে জড়িয়ে যায়। কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার হয়ে সবচেয়ে বেশি গোল ছিল মেসির। দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন তরুণ আলভারেস। তাঁর গোলেই কোপা শুরু করল আর্জেন্টিনা।
দ্বিতীয় গোলটি আসে ৮৮ মিনিটে। তত ক্ষণে কানাডার বিরুদ্ধে জয়ের আত্মবিশ্বাস পেয়ে গিয়েছে আর্জেন্টিনা। বলা যায় কানাডার কফিনে শেষ পেরেকটি ছিল মার্তিনেসের গোল। বক্সের বাইরে থেকে মেসির বাড়িয়ে দেওয়া থ্রু খুঁজে নেয় মার্তিনেসকে। সেই বল ধরে চকিতে শট নেন তিনি। বল জালে জড়িয়ে যায়। ২-০ গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা।
মেসিদের পরের ম্যাচ চিলির বিরুদ্ধে। ২৬ জুন আরও এক বার ভোরবেলা ঘুম থেকে ওঠার পালা ভারতের মেসি ভক্তদের। যদিও সেই ম্যাচও সম্প্রচার হবে কি না এখনই বলা যাচ্ছে না।