স্বামী বিবেক মেহরার সঙ্গে নীনা গুপ্ত। ছবি: সংগৃহীত।
বরাবরই স্পষ্ট কথা বলতে পছন্দ করেন অভিনেত্রী নীনা গুপ্ত। নিজের জীবন নিয়েও কখনও রাখঢাক করতে দেখা যায়নি তাঁকে। আশির দশকে অভিনেত্রী একা মা হিসাবে জন্ম দিয়েছিলেন মাসাবা গুপ্তকে। বড় করেছেন তাঁকে। মেয়ে সাবালিকা হওয়ার পর নিজের জীবন গুছিয়ে নিতে চেয়েছেন অন্য ভাবে। ২০০৮ সালে তিনি বিয়ে করেন বিবেক মেহরাকে। সেই দাম্পত্যও পেরিয়ে গিয়েছে ১৬টি বছর। সম্প্রতি মাসাবার বিয়েতে হাজির হয়েছিলেন তাঁর বাবা ভিভ রিচার্ডসও। এক ভিন্ন ধারার পারিবারিক ছবি সমাজমাধ্যমে উপহার দিয়েছিলেন নীনা। তৈরি করেছিলেন দৃষ্টান্ত।
কিন্তু, ৬৫ বছর বয়সে এসে নিজের স্বামীর কাছেই নাকি উপহাসের পাত্রী হতে হয় নীনাকে! সম্প্রতি করিনা কপূরকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন কথাই জানিয়েছেন তিনি। কেন তাঁকে নিয়ে হাসাহাসি করেন বিবেক?
নীনা বলেছেন, “আমি টাকা পয়সার বিষয়টি খুবই গুরুত্ব দিয়ে দেখি। ছোটবেলা থেকে আমায় শেখানো হয়েছে, ‘জীবনে অর্থই সব নয়’। কিন্তু আমি নিজের জীবন দিয়ে বুঝেছি, অর্থ দিয়েই সব কেনা যায়, ভালবাসাও।” তাই নিজের উপার্জিত অর্থ বিনিয়োগ করতে যেমন চান, তেমনই নিরাপত্তার জন্য জমিয়ে রাখতে চান হাতের কাছে। নীনা পছন্দ করে ‘ফিক্সড ডিপোজ়িট’ করে টাকা ব্যাঙ্কে রাখতে। আর এই বিষয়টি নিয়েই স্ত্রীকে উপহাস করেন পেশায় চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট বিবেক মেহরা।
নীনা বলেন, “আমার স্বামী যতই যত্নবান হোন, যতই আমার দেখভাল করুন না কেন, আমি ব্যাঙ্কে টাকা রাখতে চাই নিরাপত্তার কারণে। তাই ফিক্সড ডিপোজ়িট করি। কিন্তু আমার চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট স্বামী মনে করেন, ফিক্সড ডিপোজ়িট করা বোকামি। কারণ, এতে ভাল রিটার্ন পাওয়া যায় না। বিবেক আমাকে নিয়ে হাসাহাসি করুক, কিন্তু আমি এতেই শান্তি পাই।”
নীনা জানিয়েছেন, তিনি এবং তাঁর বন্ধুরা বিবকের থেকেই আর্থিক পরামর্শ নিয়ে থাকেন। এমনকি মাসাবার ব্যবসার ক্ষেত্রেও তিনিই প্রাথমিক পরামর্শদাতা ছিলেন।
আসলে, নীনা একা নন। ভারতের অধিকাংশ নাগরিকই এখনও পর্যন্ত ভরসা রাখেন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের উপর। বিনিয়োগের জন্য বেছে নিতে চান কম ঝুঁকির স্থায়ী আমানতকেই। কিন্তু দুনিয়ার সঙ্গে পাল্লা দিতে ভারতেও জনপ্রিয়তা বাড়াচ্ছে বিনিয়োগের অন্য মাধ্যমগুলি। যেখানে ঝুঁকি যেমন বেশি, তেমনই বেশি অর্থ লাভের সম্ভাবনা।