হরিদ্বার থেকে ফিরছেন (বাঁ দিক থেকে) বজরং পুনিয়া, সঙ্গীতা ফোগট, বিনেশ ফোগট ও সাক্ষী মালিক। পিছনে কৃষকনেতারা। ছবি: পিটিআই
কুস্তিগিরদের দাবি না মানলে চারদিক থেকে দিল্লি সীমান্ত ঘেরাও করার হুমকি দিয়েছেন কৃষকেরা। সেই সঙ্গে দিল্লিতে দুধ ও সব্জির জোগান বন্ধ করারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মুজফ্ফরনগরে একটি বৈঠক করেন কৃষক নেতারা। তার পরই এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে তাঁরা।
ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের প্রধান রাকেশ টিকায়েত বলেন, ‘‘কুস্তিগিরদের এই হেনস্থা মেনে নেওয়া যায় না। কেন্দ্রীয় সরকার এক জনকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে। আমরা ঠিক করেছি পাঁচ দিনের মধ্যে কুস্তিগিরদের দাবি না মানা হলে ৫ জুন দিল্লি ঘেরাও হবে। পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ ও রাজস্থান থেকে কৃষকেরা গিয়ে দিল্লি সীমান্ত ঘেরাও করবে। তা ছাড়া দিল্লিতে দুধ ও সব্জির জোগান বন্ধ করে দেব আমরা।’’
কৃষকনেতাদের কথাতেই হরিদ্বারে গঙ্গায় নিজেদের সব পদক না ভাসিয়ে ফিরে এসেছেন কুস্তিগিরেরা। দেশের সম্মান যাতে নষ্ট না হয় সেই কারণেই তাঁরা কুস্তিগিরদের বুঝিয়েছেন বলে জানিয়েছেন রাকেশ। তিনি বলেছেন, ‘‘দেশের হয়ে পদক জিততে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে কুস্তিগিরদের। তাই ওরা পদক গঙ্গায় ভাসিয়ে দিলে দেশের অসম্মান হত। সেই কারণেই ওদের আটকেছি। কিন্তু পাঁচ দিনের মধ্যে সরকার দাবি না মানলে ওদের আর আটকাতে পারব না।’’
ভারতীয় কুস্তি সংস্থার সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিংহের গ্রেফতারির দাবিতে আন্দোলন করছেন বজরং পুনিয়া, সাক্ষী মালিক, বিনেশ ফোগটের মতো কুস্তিগিরেরা। ঘটনার তদন্ত করছে দিল্লি পুলিশ। তারা জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি যাতে তাঁকে গ্রেফতার করা যায়। ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।