ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। — ফাইল চিত্র।
মাঠে বল করার সময় তাঁর আগ্রাসী আচরণ বার বার ধরা পড়েছে। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে আমির সোহেলের সঙ্গে তাঁর সেই ঝগড়া এখনও সমর্থকেরা ভুলে যাননি। সেই বেঙ্কটেশ প্রসাদ এখন মাঠের বাইরেও আগ্রাসী। ইদানীং তাঁর এক্স হ্যান্ডলে চোখ রাখলেই সেটা বোঝা যাচ্ছে। প্রায় রোজই ভারতীয় বোর্ডকে কোনও না কোনও বিষয় নিয়ে আক্রমণ করছেন। কখনও এশিয়া কাপে ভারত-পাক ম্যাচের রিজ়ার্ভ ডে নিয়ে, কখনও বিশ্বকাপের টিকিট বিক্রি নিয়ে। হঠাৎ কী হল প্রসাদের?
শনিবার তাঁর একটি টুইট হঠাৎই সবার নজরে আসে। তিনি লেখেন, “দুর্নীতিগ্রস্ত নয় এমন একটা সংগঠনের সব সদস্যদের গায়ে দুর্নীতির তকমা লাগাতে এক জন দুর্নীতিগ্রস্ত এবং অহঙ্কারী মানুষই যথেষ্ট। শুধু ছোট স্তরে নয়, বড় স্তরেও এমন লোক রয়েছে।” রবিবার সেটাই কিছুটা বদলে লেখেন, “দুর্নীতিগ্রস্ত নয় এমন একটা সংগঠনের পরিশ্রম নষ্ট করতে এবং জনপ্রিয়তা কলুষিত করতে এক জন দুর্নীতিগ্রস্ত এবং অহঙ্কারী মানুষই যথেষ্ট। শুধু ছোট স্তরে নয়, বড় স্তরেও এমন লোক রয়েছে, রাজনীতি, খেলাধুলো, সাংবাদিকতা, কর্পোরেট জগৎ সব জায়গাতেই ব্যাপারটা এক।”
প্রসাদ কোনও নাম নেননি। কিন্তু নির্দিষ্ট কে তাঁর আক্রমণে লক্ষ্য? সংবাদ সংস্থাকে কোনও নাম বলতে চাননি প্রসাদ। বলেছেন, “কোনও ব্যক্তিগত আক্রমণ নয়। স্রেফ পর্যবেক্ষণ।” প্রসাদের দাবি, তাঁর মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। বলেছেন, “দুর্নীতিগ্রস্ত বলতে আমি জীবনের সব স্তরের কথা বোঝাতে চেয়েছি। বিমান সংস্থা, ব্যাঙ্ক, এমনকি আইপিএলেও দুর্নীতি রয়েছে। আমি বোর্ডের সমালোচনা করেছি টিকিট এবং সূচি নিয়ে।”
বোর্ডের কোনও পদে নেই বলেই কি এত ক্ষোভ? উড়িয়ে দিয়েছেন প্রসাদ। বলেছে, “একদমই নয়। আমাকে তো বোর্ড প্রস্তাবও দিয়েছিল। কিন্তু আমি এখন তৈরি নই। আমি স্রেফ নিজের মতামত জানিয়েছি টুইটে। কারণ টিকিট না পাওয়া নিয়ে আমার পরিচিত অনেকেই রেগে রয়েছে।”