West Indies vs Bangladesh

৩২১ রান তুলেও হারল বাংলাদেশ, অভিষেকেই শতরান আমির জাঙ্গুর, চুনকাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের

টেস্ট সিরিজ় ১-১ ফলে শেষ করার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের কাছে এক দিনের সিরিজ়ে ০-৩ ব্যবধানে হেরে গেল বাংলাদেশ। এর পর তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ে মুখোমুখি হবে দু’দল।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৪:২৯
Picture of Amir Jangoo

আমির জাঙ্গু। ছবি: এক্স (টুইটার)।

তিন ম্যাচের এক দিনের সিরিজ়ে ০-২ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ার পর তৃতীয় ম্যাচে জয়ের জন্য মরিয়া ছিলেন মেহদি হাসান মিরাজেরা। টস জিতে বাংলাদেশকে আগে ব্যাট করার সুযোগ দিয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ় অধিনায়ক সাই হোপ। সুযোগ কাজে লাগিয়ে ৫ উইকেটে ৩২১ রান তোলে বাংলাদেশ। তাতেও লাভ হয়নি। জবাবে ৪৫.৫ ওভারে ৬ উইকেটে ৩২৫ রান তুলে ম্যাচ জিতে নেয় ক্যারিবিয়ানেরা। আমির জাঙ্গুর শতরানের ইনিংসের কাছে হারতে হল সফরকারীদের। এই ম্যাচেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছে তাঁর। জাঙ্গুর শতরানের সুবাদে বাংলাদেশকে চুনকাম করে সিরিজ় জিতল আয়োজকেরা।

Advertisement

ওপেনার তানজ়িদ হাসান (শূন্য) শুরুতেই ফিরে যান। তিন নম্বরে নামা লিটন দাসও (শূন্য) ব্যর্থ। ৯ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় সফরকারীরা। সেই অবস্থায় দলের ইনিংসের হাল ধরেন অন্য ওপেনার সৌম্য সরকার অধিনায়ক মিরাজ। তৃতীয় উইকেটের জুটিতে তাঁরা তোলেন ১৩৬ রান। সৌম্য করেন ৭৩ বলে ৭৩ রান। ৬টি চার এবং ৪টি ছয় মারেন। মিরাজের ব্যাট থেকে আসে ৭৩ বলে ৭৭ রানের ইনিংস। তিনি ৮টি চার এবং ২টি ছক্কা মারেন। পরের দিকে বাংলাদেশের ইনিংস টানলেন মাহমুদুল্লা এবং জাকের আলি। দু’জনেই শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন। ছ’নম্বরে নেমে মাহমুদুল্লা খেলেন ৬৩ বলে ৮৪ রানের অপরাজিত ইনিংস। ৭টি চারের পাশাপাশি ৪টি ছক্কা এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। ৫৭ বলে ৬২ রানে অপরাজিত থাকেন জাকের। তিনি মারেন ৫টি চার এবং ২টি ছয়। তাঁদের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ওঠে ১৫০ রান। আয়োজকদের পক্ষে সফলতম বোলার আলজ়ারি জোসেফ। ৪৩ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন তিনি।

জবাবে শুরুটা ভাল করতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ও। ৩১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যান হোপেরা। সেখান থেকে দলকে লড়াইয়ে ফেরান তিন নম্বরে নামা কেসি কার্টি এবং শার্ফেন রাদারফোর্ড। কার্টি ৮৮ বলে ৯৫ রানের ইনিংস খেলেন। ১০টি চার এবং ২টি ছয় মারেন। রাদারফোর্ড বড় রান করতে না পারলেও তাঁর ৩৩ বলে ৩০ রানের ইনিংস দলের ইনিংসকে ভরসা দেয়। চতুর্থ উইকেটের জুটিতে তাঁরা তোলেন ৫৫ রান। এর পর ছ’নম্বরে নেমে শতরানের ইনিংস খেলে দলকে জয়ের পথে নিয়ে যান জাঙ্গু। কার্টির সঙ্গে জুটি বেঁধে ১৩২ রান তোলেন। শেষ পর্যন্ত দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন জাঙ্গু। ৮৩ বলে ১০৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। শেষ পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে ২২ গজে ছিলেন গুডাকেশ মোতি। ৩১ বলে ৪৪ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ৩টি করে চার এবং ছয় মারেন।

বাংলদেশের কোনও বোলারই জাঙ্গু, কার্টি, মৈতিদের আটকাতে পারেননি। কিছুটা ভাল বল করেন তাসকিন আহমেদ। ৪৯ রানে ১ উইকেট নিয়েছেন। তবে সফলতম বোলার রিসাদ হাসান ৬৯ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন।

Advertisement
আরও পড়ুন