বাবর আজ়ম। ছবি: আইসিসি।
বিশ্বকাপ বিপর্যয়ের পর পাকিস্তান ক্রিকেটে বড় রদবদল হতে পারে। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) এবং পাকিস্তান দলের কোচিং প্যানেলে হতে পারে পরিবর্তন। গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আসতে পারেন একাধিক প্রাক্তন ক্রিকেটার।
ভারতের মাটিতে ভাল ফলের আশা নিয়ে বিশ্বকাপ খেলতে এসেছিলেন বাবর আজ়মেরা। কিন্তু লিগ পর্বে ন’টি ম্যাচের পাঁচটিতে হেরে সেমিফাইনালের আগেই বিদায় নিতে হয়েছে তাঁদের। প্রত্যাশা মতো পারফরম্যান্স করতে পারেননি বাবরেরা। প্রতিযোগিতার মাঝ পথেই তাঁদের সমালোচনা শুরু হয়েছে। ২০২৫ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক পাকিস্তান। সেই প্রতিযোগিতাকে লক্ষ্য রেখে করা হবে পরিবর্তন। সূত্রের খবর, পিসিবি এবং পাক দলের বিভিন্ন দায়িত্বে আসতে পারেন ওয়াকার ইউনিস, শাহিদ আফ্রিদি, আকিব জাভেদ, ইউনিস খান, আজহার আলিদের মতো প্রাক্তন ক্রিকেটারেরা।
জ়াকা আশরফের নেতৃত্বাধীন পিসিবির ১২ সদস্যের কমিটির কার্যকালের মেয়াদ শেষ হচ্ছে নভেম্বর মাসে। তবে তাঁদের আরও তিন মাস, অর্থাৎ ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কাজ চালানোর নির্দেশ দিয়েছে পাকিস্তান সরকার। তার মধ্যেই ঠিক করে ফেলা হবে কে কোন দায়িত্বে আসবেন। প্রধান নির্বাচক, ডিরেক্টর অফ ক্রিকেট পদে আসতে পারে নতুন মুখ। জাতীয় দলের কোচিং প্যানেলেও দেখা যতে পারে একাধিক প্রাক্তন ক্রিকেটারকে। এশিয়া কাপ এবং বিশ্বকাপের ব্যর্থতার পর নতুন করে ভাবতে বাধ্য হচ্ছেন পাকিস্তানের ক্রিকেট কর্তারা।
পিসিবির এক কর্তার বক্তব্য, ‘‘বিশ্বকাপের পর জাতীয় দল অস্ট্রেলিয়া এবং নিউ জ়িল্যান্ড সফরে যাবে। এই সময় আশরফের নেতৃত্বাধীন কমিটি চূড়ান্ত করে ফেলবে কে কোন দায়িত্বে আসবেন। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’ সূত্রের খবর, নতুন ভূমিকায় দেখা যেতে পারে শোয়েব মালিককেও। টি-টোয়েন্টি দলের কোচ অথবা অধিনায়ক করা হতে পারে তাঁকে। মালিক এখনও অবসর নেননি। এখন মূলত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। বিভিন্ন দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি লিগেও কদর রয়েছে তাঁর। তাই পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক হিসাবে ফিরিয়ে আনা হতে পারে মালিককে।
আগে দু’দফায় পাকিস্তানের প্রধান কোচ হিসাবে কাজ করেছেন ইউনিস। জাতীয় দলের ব্যাটিং, বোলিং কোচ হিসাবে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে জাভেদ এবং ইউনিসের। তাঁদের আবার সেই ভূমিকায় দেখা যেতে পারে। বিশ্বকাপের ব্যর্থতার দায় নিয়ে প্রধান নির্বাচকের পদে ইস্তফা দিয়েছেন ইনজামাম উল হক। তাঁর জায়গায় দেখা যেতে পারে শাহিদ আফ্রিদিকে। মাঝে অল্প কয়েক দিনের জন্য এই দায়িত্ব সামলেছিলেন তিনি। বাবরদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কও ভাল।
টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্বে মালিককে আনার কথা ভাবা হলেও টেস্ট এবং এক দিনের ক্রিকেটে সম্ভবত বাবরই নেতৃত্ব দেবেন পাকিস্তানকে। তিনি নিজে নেতৃত্ব ছাড়ার ইঙ্গিত দিলেও এখনই পরিবর্তনের পক্ষে নন পাক ক্রিকেট কর্তারা। দেশে ফেরার পর বাবরের সঙ্গে কথা বলবেন আশরফ। পাক কর্তারাদের যুক্তি, ব্যর্থতার দায় একা বাবরের নয়। দলের কোনও সদস্যই প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স করতে পারেনি। তবে বাবরের চাপ কমানোর জন্য মালিকের কথা ভাবা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে প্রয়োজনে বাবরকে বিশ্রাম দেওয়ারও সুযোগ থাকবে।