CSIR-IICB

৫১ জন চুক্তিভিত্তিক কর্মী ছাঁটাই! যাদবপুরে কেন্দ্রীয় সংস্থার ডিরেক্টরকে ঘেরাও করে পুনর্বহালের দাবি

বিক্ষোভকারীদের দাবি, ওই প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন পদে ৯৭ জন চুক্তিভিত্তিক কাজ করেন। তবে বুধবার সকালে কাজে এসে আচমকাই শোনেন চাকরি নেই ৫১ জনের। তার প্রতিবাদেই দিনভর বিক্ষোভ চলছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০২৫ ২৩:২০
Agitation over retrenchment of 51 contractual employees at CSIR-IICB, Jadavpur

ডিরেক্টরের ঘরের সামনে বিক্ষোভকারীদের ভিড়। —নিজস্ব চিত্র।

৫১ জন চুক্তিভিত্তিক কর্মীকে আচমকাই ছাঁটাই করার ঘটনায় উত্তাল যাদবপুরের কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠান ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ কেমিক্যাল বায়োলজি (আইআইসিবি)। আর তার প্রতিবাদেই বুধবার সকাল থেকে কাউন্সিল অফ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চের (সিএসআইআর) অধীনে এই প্রতিষ্ঠানের ডিরেক্টরকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ চলছে। রাত গড়ালেও এখনও ডিরেক্টরের অফিসে সামনে ভিড় করে আছেন বিক্ষোভকারীরা। তাঁদের দাবি, ছাঁটাই করা চলবে না। পুনর্বহাল করতে হবে সকলকে।

Advertisement

বিক্ষোভকারীদের দাবি, ওই প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন পদে ৯৭ জন চুক্তিভিত্তিক কাজ করেন। তবে বুধবার সকালে কাজে এসে আচমকাই শোনেন চাকরি নেই ৫১ জনের। তাঁদের মধ্যে কেউ ২৫ বছর, কেউ আবার ৩০ বছর ওই প্রতিষ্ঠানে রয়েছেন। বিনা নোটিসে ছাঁটাইকে কেন্দ্র করে বুধবার সকাল থেকেই উত্তেজনা ছড়ায় আইআইসিবি-তে। শুধু চাকরিহারা নন, তাঁদের বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন ওই প্রতিষ্ঠানের গবেষকেরাও। ডিরেক্টর বিভা টন্ডনের ঘরের সামনে ভিড় করেছেন বিক্ষোভকারীরা। তাই সকাল থেকেই অফিসের মধ্যে আটকে রয়েছেন ডিরেক্টর। জানা গিয়েছে, কর্তৃপক্ষের তরফে রাতের দিকে এক বার অন্য দরজা দিয়ে তাঁকে বাইরে বার করার চেষ্টা হয়। তবে সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। ডিরেক্টরকে আটকে দেন বিক্ষোভকারীরা।

সুদীপ্ত দাস নামে এক চুক্তিভিত্তিক কর্মীর অভিযোগ, দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই ডিরেক্টর দিল্লির নিয়ম এখানে কার্যকর করার চেষ্টা করছেন। তাঁর কথায়, ‘‘আজ সকালে জানতে পারি ৫১ জনকে বিতাড়িত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আমাদের আগে থেকে কোনও কিছু জানানো হয়নি। আমরা এর প্রতিবাদে সকাল থেকে অবস্থান করছি।’’ অনেকের অভিযোগ, এ রাজ্যের বদলে বাইরে থেকে মূলত উত্তরপ্রদেশের সংস্থার মাধ্যমে আইআইসিবি-তে চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ করতে চাইছেন ডিরেক্টর। এ প্রসঙ্গে সুদীপ্ত বলেন, ‘‘ডিরেক্টর এখন যে কনট্র্যাক্টর নিয়ে এসেছেন, তিনি নয়ডার।’’

চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের আন্দোলনে সকাল থেকেই যোগ দিয়েছেন ওই প্রতিষ্ঠানের গবেষকেরা। তেমনই এক গবেষকের কথায়, ‘‘চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের রাতারাতি বিতাড়িত করা হয়েছে। তার প্রতিবাদে আমরাও সরব হয়েছি।’’ বিক্ষোভ চলাকালীন ডিরেক্টর প্রতিষ্ঠান ছাড়ার চেষ্টা করতেই বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। তাঁকে আটকাতে গেলে বিক্ষোভরত গবেষকদের উপর নিরাপত্তাকর্মীরা চড়াও হন বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় এক গবেষক আহত হয়েছেন বলেও খবর।

Advertisement
আরও পড়ুন