হ্যারিস রউফ। ছবি: আইসিসি।
এ বারের বিশ্বকাপে প্রত্যাশা অনুযায়ী খেলতে পারেনি পাকিস্তান। লিগ পর্বের খেলা শেষ হওয়ার আগেই প্রতিযোগিতা থেকে কার্যত বিদায় নিয়েছেন বাবর আজ়মেরা। পাকিস্তানের হতাশজনক ফলের অন্যতম কারণ বোলারদের ব্যর্থতা। শাহিন আফ্রিদি, হ্যারিস রউফেরা দেশে ফিরছেন লজ্জার নজির গড়ে।
বিশ্বকাপের লিগ পর্বে পাকিস্তানের ন’টি ম্যাচেই খেলেছেন রউফ। পাকিস্তানের প্রথম বোলার হিসাবে একটি বিশ্বকাপে ৫০০-র বেশি রান দিয়েছেন তিনি। প্রতিযোগিতায় ১৬টি উইকেট পেলেও খরচ করেছেন মোট ৫৩৩ রান। একটি বিশ্বকাপে বিশ্বের আর কোনও বোলার এত রান দেননি কখনও। একটি বিশ্বকাপে সব থেকে বেশি রান দেওয়ার রেকর্ড এত দিন ছিল ইংল্যান্ডের আদিল রশিদের দখলে। তিনি ২০১৯ বিশ্বকাপে ১১টি ম্যাচে ৫২৬ রান দিয়েছিলেন ১১টি উইকেটের বিনিময়ে। তাঁকে টপকে শীর্ষে উঠে এলেন পাকিস্তানের ৩০ বছরের জোরে বোলার।
এক বিশ্বকাপে সব থেকে বেশি রান দেওয়ার তালিকায় তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছেন শ্রীলঙ্কার দিলশান মদুশঙ্ক। তিনি এ বারের বিশ্বকাপে ন’টি ম্যাচ খেলে ৫২৫ রান দিয়েছেন। ২১টি উইকেট পেয়েছেন শ্রীলঙ্কার জোরে বোলার। চতুর্থ স্থানে রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ক। ২০১৯ বিশ্বকাপে ১০টি ম্যাচ খেলে তিনি খরচ করেছিলেন ৫০২ রান। পেয়েছিলেন ১০টি উইকেট।
পাকিস্তানের এ বারের ব্যর্থতার জন্য বোলারদের মধ্যে শুধু রউফ একা দায়ী নন। দলের প্রধান স্ট্রাইক বোলার শাহিন আফ্রিদিকেও চেনা ফর্মে দেখা যায়নি। তিনি ন’টি ম্যাচ খেলে খরচ করেছেন ৪৮১ রান। পেয়েছেন ১৮টি উইকেট। অর্থাৎ, বাবরের দলের দুই প্রধান জোরে বোলার এ বারের বিশ্বকাপে বিলিয়েছেন ১০১৪ রান।