বিরাট কোহলি। ছবি: পিটিআই।
সেই অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাট ছুঁইয়ে আউট হলেন বিরাট কোহলি। একই ভাবে আউট হচ্ছেন প্রায় প্রতি ইনিংসেই। শনিবার সিডনিতেও স্কট বোল্যান্ডের বলে আউট হলেন খোঁচা দিয়ে। নিজে বুঝতে পারলেও সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারছেন না। আউট হওয়ার পর কোহলির হতাশার বহিঃপ্রকাশই তার প্রমাণ। অফ স্টাম্পের বাইরের বলে তাঁর যেন শনির দশা চলছে।
প্রথম ইনিংসে বোল্যান্ডের বলেই তৃতীয় স্লিপে বিউ ওয়েবস্টারের হাতে ক্যাচ দিয়েছিলেন কোহলি। দ্বিতীয় ইনিংসেও সেই বোল্যান্ডের বলে ক্যাচ দিলেন দ্বিতীয় স্লিপে স্টিভ স্মিথের হাতে। কোন লাইন এবং লেংথে বল রাখলে কোহলির উইকেট পাওয়া যাবে, বুঝে ফেলেছেন অস্ট্রেলিয়ার বোলারেরা। তাঁরা সেই মতো ফাঁদ পেতে অপেক্ষা করছেন। কোহলি নিজেই সেই ফাঁদে পা দিয়ে উইকেট ছুড়ে দিচ্ছেন। বার বার একই ভাবে তাঁর আউট হওয়া খানিকটা হলেও দৃষ্টিকটু হয়ে গিয়েছে।
সিডনিতে দ্বিতীয় ইনিংসে কোহলি ২২ গজে খেললেন ১২ বল। করলেন ৬ রান। কোহলির ব্যাট যেন অফ স্টাম্পের বাইরের বল দেখলেই এগিয়ে যাচ্ছে চুম্বকের মতো। নিজেকে সংযত করতে পারছেন না। বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটারের শটের বৈচিত্র যেন কমে গিয়েছে। একই ভাবে খেলার চেষ্টা করছেন। ব্যর্থ হচ্ছেন বার বার। নিজে বুঝতেও পারছেন। তবু অদৃশ্য বাধা ভেদ করে উঠতে পারছেন না।
২০২১ সাল থেকে টেস্টে ২২ বার অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে আউট হয়েছেন কোহলি। শনিবার ২৩ বার খোঁচা দিলেন। রোগ সারাতে পারছেন না। প্রভাব পড়ছে কোহলির টেস্ট গড়েও। যেমন ২০২৪ সালে টেস্টের প্রথম ইনিংসে তাঁর গড় ৭ আর জসপ্রীত বুমরাহের ১০। সারা বিশ্বে কোহলির পিছনে আছেন মাত্র এক জন। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিনার কেশব মহারাজ। তাঁর প্রথম ইনিংসের গড় ৫.৪।
ভারতীয় দলের ব্যাটিং অর্ডারের গুরুত্বপূর্ণ চার নম্বরে নামেন কোহলি। ওপেনারেরা দ্রুত আউট হয়ে গেলে ইনিংস গড়ার দায়িত্ব তাঁর। আবার দলের শুরুটা ভাল হলে ইনিংসকে ভাল জায়গায় পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব তাঁর। কিন্তু কোহলি যেন অতীতের ছায়া। যে অন্ধকারে বার বার ডুবতে হচ্ছে ভারতীয় দলকেও।