ICC

ব্যাট হাতে দলকে বাঁচানোই শুধু নয়, আইসিসিকে রাজি করিয়ে খেলার নিয়মই বদলে দিলেন অসি ক্রিকেটার

অ্যাশেজে বেশ কয়েক বার ব্যাট হাতে অস্ট্রেলিয়ার সম্মান বাঁচিয়েছেন উসমান খোয়াজা। এ বার সতীর্থদের পকেটের টাকাও বাঁচালেন তিনি। আইসিসিকে অনুরোধ করে নিয়মই বদলে দিলেন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২৩ ২২:২৭
cricket

— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

চলতি অ্যাশেজে বেশ কয়েক বার ব্যাট হাতে অস্ট্রেলিয়ার সম্মান বাঁচিয়েছেন উসমান খোয়াজা। এ বার সতীর্থদের পকেটের টাকা বাঁচাতেও সাহায্য করলেন তিনি। খোয়াজা জানিয়েছেন, আইসিসি কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে তিনিই প্রথম মন্থর গতির ওভার রেটের কারণে পাওয়া শাস্তির নিয়ম বদল করিয়েছেন।

সম্প্রতি আইসিসির বার্ষিক বৈঠকে মন্থর গতির শাস্তি সংক্রান্ত নিয়ম বদল করা হয়। আইসিসি জানিয়েছে, নির্ধারিত সময়ের পর যত ওভার কম থাকবে, প্রতি ওভার পিছু ৫ শতাংশ ম্যাচ ফি জরিমানা হবে। তবে ৫০ শতাংশের বেশি জরিমানা কোনও ভাবেই হবে না। যদি কোনও দল ৮০ ওভার বা দ্বিতীয় নতুন বল নেওয়ার আগেই অলআউট হয়ে যায়, তা হলে মন্থর গতিতে ওভার করা হলেও কোনও শাস্তি দেওয়া যাবে না।

Advertisement

খোয়াজা জানিয়েছেন, আইসিসির জেনারেল ম্যানেজার ওয়াসিম খানের সঙ্গে দেখা করে এ ব্যাপারে কথা বলেছিলেন তিনি। আগের নিয়মে, যত ওভার কম হত, প্রতি ওভার পিছু ২০ শতাংশ ম্যাচ ফি জরিমানা হত। গত বিশ্ব টেস্ট ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার ৮০ শতাংশ এবং ভারতের ১০০ শতাংশ ম্যাচ ফি জরিমানা হয়। অ্যাশেজের প্রথম টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের ৪০ শতাংশ ম্যাচ ফি জরিমানা হয়।

খোয়াজা বলেছেন, “যা চলছিল তাতে হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। ভাবছিলাম কাউকে অন্তত আইসিসির সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলতে হবে। আমরা তিনটে দারুণ ম্যাচ খেলেছি। সমর্থকদের বিনোদন দিয়েছি। দিনের শেষে আমাদের ম্যাচ ফি-র ৮০ শতাংশ টাকাই দিয়ে দিতে হয়েছে। ওভার রেটে একটু পিছিয়ে ছিলাম ঠিকই। কিন্তু আইসিসি বড্ড বেশি শাস্তি দিচ্ছিল। ওদের ধন্যবাদ যে শেষ পর্যন্ত নিয়মে বদল করেছে। শাস্তির টাকাটা বড্ড বেশি।”

তিনি আরও বলেন, “অতীতে ওয়াসিম পাক বোর্ডে ছিলেন। আমি পাকিস্তান সুপার লিগে খেলার সুবাদে ওঁকে চিনি। যোগাযোগ রেখেছিলাম। এখন উনি আইসিসির পদে রয়েছেন। ওঁকেই অনুরোধ করি শাস্তির নিয়ম বদলের ব্যাপারে। প্রথমে বার্তা পাঠাই, তার পর ফোন করি এবং শেষে দেখা করি। প্যাট কামিন্স, অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ডও কথা বলেছে। উনি তখন শুধু শুনেছিলেন। কিছু বলেননি। ফলাফল দেখতে পেলাম এক-দু’সপ্তাহ পরে।”

আরও পড়ুন
Advertisement