লখনউতে মা এবং চার বোনকে খুনে অভিযুক্ত যুবক আরশাদ (ডান দিকে) আত্মসমর্পণ করেছেন। —ফাইল চিত্র।
চার বোনেরই শিরা কেটেছিলেন বাবা, লখনউকাণ্ডে পুলিশকে এমনটাই জানিয়েছেন মূল অভিযুক্ত। তিনি মা এবং চার বোনকে লখনউয়ের একটি হোটেলের ঘরে খুন করে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। জানিয়েছিলেন, পরিবারের সদস্যদের সম্মান রক্ষার জন্যই তাঁদের খুন করেছেন। বৃহস্পতিবার যুবক দাবি করেছেন, এই পরিকল্পনার নেপথ্যে ছিলেন তাঁর বাবা। স্ত্রী এবং চার কন্যাকে খুনে তাঁরও ভূমিকা ছিল। যুবকের বয়ানের ভিত্তিতে তাঁর বাবার বিরুদ্ধেও মামলা রুজু করেছে পুলিশ। তবে তিনি পলাতক।
বর্ষবরণের রাতে আগরা থেকে লখনউয়ে সপরিবার ঘুরতে গিয়েছিলেন ২৪ বছরের আরশাদ। মা এবং চার বোন ছিলেন তাঁর সঙ্গে। হোটেলের ঘরে খাওয়াদাওয়ার পরেই পাঁচ জনকে খুন করেন তিনি। পুলিশকে যুবক জানিয়েছেন, গলা টিপে মা এবং বোনেদের তিনি খুন করেছেন। তবে এই কাজে তাঁকে সহায়তা করেছেন বাবাও। যুবকের স্বীকারোক্তি, বাবা-ই একটি ব্লেডের মাধ্যমে তাঁর বোনেদের হাতের শিরা কেটে দিয়েছিলেন।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, মা এবং চার বোনের খাবার আর পানীয়ের সঙ্গে বিষাক্ত কিছু মিশিয়ে দিয়েছিলেন যুবক। তাতে তাঁরা ঝিমিয়ে পড়েন। তার পরে তাঁদের খুন করা হয়। বৃহস্পতিবার আরশাদকে চার ঘণ্টা টানা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। সেই সময়েই তিনি পরিকল্পনার ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসাবে নিজের বাবা বদরের কথা তদন্তকারীদের জানিয়েছেন।
আরশাদ জানান, তাঁরা আগরার বাসিন্দা। লখনউতে ঘুরতে এসেছিলেন। বদায়ুঁতে একটি সম্পত্তি নিয়ে তাঁদের সঙ্গে এক প্রতিবেশীর ঝামেলা চলছিল। ওই প্রতিবেশীর হাত থেকে মা এবং বোনদের বাঁচাতেই বাবার সঙ্গে মিলে পাঁচ জনকে খুনের পরিকল্পনা করেন যুবক। অভিযোগ, ওই প্রতিবেশী বদায়ুঁর সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। তিনি যুবকের চার বোনকে পাচারের ছকও কষেছিলেন বলে অভিযোগ।
যুবক আরও জানিয়েছেন, মা এবং চার বোনের গলা টিপে ধরেছিলেন তিনি। শ্বাসরুদ্ধ করে তাঁদের হত্যা করেছেন। সেই সময়েই পাশে বসেছিলেন তাঁর বাবা। তিনি নিজের চার কন্যার মৃত্যু নিশ্চিত করতে তাঁদের হাতের শিরা কেটে দিয়েছিলেন। তার পর চুপ করে বসে একটু একটু করে তাঁদের মরতে দেখছিলেন। সেই ঘটনার ভিডিয়োও রেকর্ড করেছেন বলে যুবক পুলিশকে জানিয়েছেন। তাঁর বাবার খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।