বিশ্বকাপের ট্রফি হাতে নিয়ে সতীর্থদের সঙ্গে দৌড় শেফালি বর্মার। ছবি: টুইটার
কিছু দিন আগেই মহিলাদের আইপিএলের দল ঘোষিত হয়েছে। আর কয়েক দিন পরেই হবে নিলাম। তার আগে ভারতের খুদে মহিলা ক্রিকেটাররা দেখিয়ে দিলেন, দেশের ক্রিকেট রয়েছে সুরক্ষিত হাতেই। প্রথম বার অনূর্ধ্ব-১৯ মেয়েদের বিশ্বকাপ হচ্ছে। প্রথম বারেই জিতে নিল ভারতের মহিলা দল। শেফালি বর্মার নেতৃত্বাধীন দল রবিবার ইংল্যান্ডকে ফাইনালে হারাল আট উইকেটে। মিতালি রাজ, ঝুলন গোস্বামীর মহিলা দল দু’বার বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেও জিততে পারেননি। বিশ্বকাপ না পাওয়ার খেদ নিয়েই তাঁদের অবসর নিতে হয়েছে। সেই স্বপ্ন পূরণ হল শেফালি, তিতাস, রিচাদের হাত ধরে।
ম্যাচের পর কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন শেফালি। সাধারণত অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট খেলে সিনিয়র দলে সুযোগ পান ক্রিকেটাররা। শেফালি এবং আরও কিছু মহিলা ক্রিকেটারের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা উল্টো। তাঁরা আগেই সিনিয়র দলে খেলে ফেলেছেন। তবু যে কোনও বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদই অন্য রকম। সেটা মাথায় রেখেই শেফালি বললেন, “যে ভাবে দলের প্রত্যেকে একে অপরের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং প্রতিযোগিতা জুড়ে খেলেছে, তাতে আমি প্রচণ্ড খুশি। দলের স্টাফদেরও ধন্যবাদ। গোটা প্রতিযোগিতায় আমার পাশে ছিল এবং মনে করিয়ে দিয়েছে, ট্রফি জেতার জন্য ঠিক কী করতে হবে। সতীর্থদেরও সমর্থন পেয়েছি। বোর্ডকেও অনেক ধন্যবাদ আমাদের দলের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্যে।”
শ্বেতা সেহরাওয়াতের জন্য আলাদা করে প্রশংসা করলেন শেফালি। বলেছেন, “যা পরিকল্পনা ছিল সব নিখুঁত ভাবে কাজে লাগিয়েছে ও। এ ছাড়াও অর্চনা, সৌম্যা, আরও বাকিরা রয়েছে।” বলতে বলতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন শেফালি। আবেগের বশে কথাই বলতে পারছিলেন না ঠিক করে। সঞ্চালকও আর তাঁকে প্রশ্ন করেননি।
U19 Women’s T20 World Cup Champions 🤩
— ICC (@ICC) January 29, 2023
U19 Men’s Cricket World Cup Champions 🤩
The future of Indian cricket is in safe hands 🙌#U19T20WorldCup pic.twitter.com/BJcX46lRGZ
মেয়েদের এই দলের কোচ নুশিন আল খাদির, যিনি ২০০৫ বিশ্বকাপ খেলেছেন মিতালি, ঝুলনদের সঙ্গে। সে বার বিশ্বকাপ পাননি। এ বার কোচ হিসাবে বিশ্বকাপের স্বাদ পেলেন। নুশিন বললেন, “অনেক দিন ধরে এই দিনটা জন্যে অপেক্ষা করছিলাম। আমাদের দলে কতটা গভীরতা রয়েছে সেটা প্রমাণ করে দিল এই ট্রফি। নিজের উপর বিশ্বাস রাখাই সাফল্যের সবচেয়ে বড় কারণ। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে একটা খারাপ ম্যাচ গিয়েছে। তার পরেও যে ভাবে প্রত্যেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে, তা প্রশংসাযোগ্য।”