সূর্যকুমার যাদব। —ফাইল চিত্র।
২৩ নভেম্বর থেকে শুরু হবে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ়। সেই সিরিজ়ে দু’জন সহ-অধিনায়ক থাকবেন। প্রথম তিন ম্যাচে সহ-অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড়। শেষ দু’টি ম্যাচে দলে যোগ দেবেন শ্রেয়স আয়ার। তখন সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। অধিনায়ক থাকবেন সূর্যকুমার যাদবই।
সোমবার অস্ট্রেলিয়া সিরিজ়ের দল ঘোষণা করেছে ভারতীয় বোর্ড। সেখানে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে বিশ্বকাপে খেলা বেশির ভাগ ক্রিকেটারকেই। রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের সঙ্গে বিশ্রামে যশপ্রীত বুমরা, মহম্মদ শামিরাও। নেই লোকেশ রাহুলও। বিশ্বকাপের দল থেকে সূর্যকুমারকে ছাড়ও রাখা হয়েছে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ এবং ঈশান কিশনকে। নির্বাচকেরা মনে করেছেন, এই তিন জন বিশ্বকাপে যথেষ্ট সুযোগ পাননি। তাই টি-টোয়েন্টির দলে নেওয়া হয়েছে। সব সিনিয়র ক্রিকেটার-সহ বাকিদের বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। এশিয়ান গেমসে যে দল খেলতে গিয়েছিল সেই দলের অনেকে সুযোগ পেয়েছেন।
ভারতীয় দলের জার্সি গায়ে আবার দেখা যাবে কলকাতা নাইট রাইডার্সের রিঙ্কু সিংহকে। থাকছেন আইপিএলে ঝড় তোলা তিলক বর্মা, শিবম দুবে, জিতেশ শর্মারাও। আরশদীপ সিংহ আবার দলে ফিরেছেন। বাংলার মুকেশ কুমারও রয়েছেন। অর্থাৎ, আগামী বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে যতটা পারা যায় তরুণ ক্রিকেটারদের খেলিয়ে দেখে নিতে চাইছে ভারত। এই দল তারই একটা প্রতিফলন।
আগেই জানানো হয়েছিল যে, এই সিরিজ়ে হার্দিক পাণ্ড্যকে পাওয়া যাবে না। তাঁর চোট এখনও সারেনি। বিশ্বকাপের প্রাথমিক দলে অক্ষর থাকলেও চোট পেয়ে শেষ মুহূর্তে বাদ পড়েন। কিছু দিন আগেই প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরেছেন তিনি। খেলেছেন সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে।
ভারত-অস্ট্রেলিয়া টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ের ম্যাচগুলি হবে বিশাখাপত্তনম (২৩ নভেম্বর), তিরুঅনন্তপুরম (২৬ নভেম্বর), গুয়াহাটি (২৮ নভেম্বর), রায়পুর (১ ডিসেম্বর) এবং বেঙ্গালুরুতে (৩ ডিসেম্বর)।
পুরো দল: সূর্যকুমার যাদব (অধিনায়ক), রুতুরাজ গায়কোয়াড় (সহ-অধিনায়ক), শ্রেয়স আয়ার (শেষ দু'টি ম্যাচের জন্য) ঈশান কিশন, যশস্বী জয়সওয়াল, তিলক বর্মা, রিঙ্কু সিংহ, জিতেশ শর্মা (উইকেটকিপার), ওয়াশিংটন সুন্দর, অক্ষর পটেল, শিবম দুবে, রবি বিষ্ণোই, আরশদীপ সিংহ, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ, আবেশ খান এবং মুকেশ কুমার।