ভারত কখনও অন্য দেশের টি-টোয়েন্টি লিগে খেলতে যায় না। —ফাইল চিত্র
এ বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভরাডুবির জন্য অনেকেই মনে করছেন যে ভারতের বিদেশি লিগে খেলা উচিত। দেশে আইপিএল হলেও ভারত কখনও অন্য দেশের টি-টোয়েন্টি লিগে খেলতে যায় না। কোনও ক্রিকেটারকে এই অনুমতি দেয় না ভারত। এটাই ভারতের হারের অন্যতম কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। একই মত স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের।
আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের কোচ ফ্লেমিং। নিউজ়িল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক বলেন, “ধারাভাষ্যকাররা বলছিলেন, অ্যাডিলেডে অ্যালেক্স হেলসের অভিজ্ঞতার কথা। সারা বিশ্বে যে ক্রিকেটাররা খেলছে, তারা সেই দেশের ঘরোয়া ক্রিকেট সম্পর্কে একটা ধারণা তৈরি করতে পারছে। সেই কারণে মাঠে অনেক বেশি স্বস্তিতে থাকতে পারে।” অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ লিগে খেলেন হেলস। সেই কারণেই অ্যাডিলেড পরিচিত ইংরেজ ওপেনারের।
ভারতীয় ব্যাটাররা অ্যাডিলেডে সে ভাবে খেলতে পারেননি। বিরাট কোহলি এবং হার্দিক পাণ্ড্য অর্ধশতরান করলেও রান পাননি লোকেশ রাহুল, রোহিত শর্মা, ঋষভ পন্থরা। কিন্তু হেলস সেই মাঠেই ৮৬ রান করে অপরাজিত থাকেন। বাটলার ৮০ রানে অপরাজিত থাকেন। ফ্লেমিং বলেন, “পরের বিশ্বকাপের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ। সেখানে তরুণ ভারতীয় ক্রিকেটারদের খেলতে পাঠালে দু’বছর পরের বিশ্বকাপের জন্য লাভ হবে ভারতের। সারা বিশ্বে ক্রিকেটটা অন্য ভাবে খেলা হয়। অন্য দেশে খেলতে যাওয়া, নিজের ফোন আপডেট করার মতো। নিজের অভিজ্ঞতা বাড়ে।” রাহুল দ্রাবিড় মানতে চাননি যে অন্য দেশের লিগে ভারতীয় ক্রিকেটারদের খেলতে দেওয়া উচিত। যদিও তিনি মনে করেন যে, অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে খেলার অভিজ্ঞতা কাজে লেগেছে ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারদের।
বিদেশের টি-টোয়েন্টি লিগগুলিতে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের খেলার অনুমতি দেয় না ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। এটা কে ব্যর্থতার কারণ বলতে মানতে চাননি ভারতের কোচ। দ্রাবিড় বলেন, ‘‘এটা কোনও কারণ বলে মনে হয় না। তা ছাড়া এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন। বিশেষ করে ভারতীয় ক্রিকেটে। ভরা মরসুমে আমাদের অনেক প্রতিযোগিতা হয়। জানি আমাদের অনেক ক্রিকেটারই বিদেশে খেলার সুযোগ পায় না। এই সিদ্ধান্তটা ভারতীয় বোর্ডকে নিতে হবে। বোর্ড অনুমতি দিলে হয়তো বিদেশের লিগগুলোয় ভারতীয় ক্রিকেটারদের ভাল চাহিদাও তৈরি হবে। কিন্তু বিদেশের টি-টোয়েন্টি লিগগুলো যে সময় হয় তখন ভারতে ঘরোয়া ক্রিকেটের ভরা মরসুম। টেস্টের সূচি থাকে। সবাই বিদেশে খেলতে চলে গেলে রঞ্জি ট্রফি-সহ ঘরোয়া প্রতিযোগিতাগুলো শেষ করা যাবে না। টেস্ট সিরিজ়গুলো খেলা কঠিন হবে। ওগুলো উঠেই যাবে। অনেক ক্রিকেটার হয়তো বিদেশে খেলতে ইচ্ছুক। অনেকে এটা বলেন। কিন্তু সেটা করলে আমাদের পরিণতি ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের মতো হয়ে যেতে পারে। চাইব আমাদের ক্রিকেটাররা গুরুত্ব দিয়ে টেস্ট ক্রিকেট খেলুক। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।’’