ব্রুক এবং কারেনের দাপটে জয় ইংল্যান্ডের। ছবি টুইটার
ইংল্যান্ডের কাছে ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ে হেরেছিল পাকিস্তান। এ বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচেও ইংরেজদের কাছে হারতে হল তাদের। হ্যারি ব্রুক এবং স্যাম কারেনের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের সৌজন্যে সোমবার ব্রিসবেনে ৬ উইকেটে হারল তারা। হারের পিছনে পাকিস্তানের কুৎসিত ফিল্ডিং অন্যতম কারণ। গোটা ম্যাচে একাধিক নিশ্চিত ক্যাচ ফেললেন পাকিস্তানের ফিল্ডাররা। রানও দিলেন বেশি।
বাবর আজ়ম এই ম্যাচে খেলেননি। কিন্তু ২৩ অক্টোবর ভারতের বিরুদ্ধে নামার আগে তাঁকে নিঃসন্দেহে চিন্তায় রাখবে দলের ফিল্ডিং। এশিয়া কাপেও পাকিস্তানের ফিল্ডিং এমন কিছু আহামরি ছিল না। বিশ্বকাপেও যে তার কোনও উন্নতি হয়নি, তা দেখা গেল প্রথম ম্যাচেই। ষষ্ঠ ওভারের শেষ বলে লিয়াম লিভিংস্টোনের শট ধরতে পারেননি ইফতিকার আহমেদ। নবম ওভারে হ্যারিস রউফের ওভার থ্রোর জেরে অতিরিক্ত রান পায় ইংল্যান্ড। দশম ওভারে পর পর দু’টি ক্যাচ ফেলে পাকিস্তান। স্কোয়্যার লেগে লিভিংস্টোনের ক্যাচ ধরতে গিয়ে ফস্কান আসিফ আলি। পরের বলে ফের লিভিংস্টোন বল আকাশে তুলে দেন। এ বার ক্যাচ গলে মহম্মদ হাসনাইনের হাত থেকে। ইংল্যান্ড ব্যাটাররা আর সুযোগ দেননি। অনায়াসে ম্যাচ জিতে নেন।
এ দিন বৃষ্টির জন্য ম্যাচ কমে হয় ১৯ ওভারের। টসে জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় ইংল্যান্ড। এই ম্যাচে পাকিস্তানের সেরা ওপেনিং জুটিকে দেখা যায়নি। কারণ অধিনায়ক বাবর আজ়ম এবং মহম্মদ রিজ়ওয়ান, কেউই প্রথম একাদশে ছিলেন না। পাকিস্তানকে নেতৃত্ব দেন শাদাব খান। ওপেন করেন শান মাসুদ এবং হায়দার আলি। প্রথম উইকেটে উঠে যায় ৪৯ রান। ১৮ রানে আউট হন হায়দার। ৩৯ রানে ফেরেন মাসুদ। মহম্মদ ওয়াসিমের ১৬ বলে ২৬ ছাড়া আর কোনও ব্যাটারই উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারেননি। ১৯ ওভারে ৮ উইকেটে ১৬০ তোলে পাকিস্তান।
দীর্ঘ দিন বাদে পাকিস্তানের হয়ে বল হাতে দেখা গেল শাহিন আফ্রিদিকে। বলের গতি এখনও আগের মতো আসেনি। মাত্র দু’ওভার বল করলেন। কিন্তু সাত রানের বেশি দেননি শাহিন। ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার ফিল সল্ট (১) এবং অ্যালেক্স হেলস (৩) বেশি ক্ষণ টিকতে পারেননি। দুরন্ত খেলেন বেন স্টোকস। তাঁর ১৮ বলে ৩৬ রানের ইনিংসে রয়েছে ২টি চার এবং ৩টি ছয়। ইংল্যান্ডকে জেতাতে মুখ্য ভূমিকা নেন হ্যারি ব্রুক এবং স্যাম কারেন। ২টি চার এবং ৪টি ছয়ের সাহায্যে ব্রুক ২৪ বলে ৪৫ রানে অপরাজিত থাকেন। কারেন ১৪ বলে ৩৩ রানে অপরাজিত থাকেন।