আট শটে কোহলিরা জিতলেন। ছবি পিটিআই
রবিবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একটা সময় পর্যন্ত অনেকটাই পিছিয়ে ছিল ভারত। শুরুতে টপ অর্ডার ধসে যাওয়ার ধাক্কা সামলাতে অনেকটা সময় লাগে। শেষ কয়েকটি ওভারে ম্যাচ ঘুরে যায়। রবিবার ভারতের জয়ের পিছনে রয়েছে আটটি শট। বিভিন্ন সময়ে মারা সেই শট ম্যাচের চরিত্র বদলে দিয়েছে। কী কী সেই শট?
১১.১ ওভার (হার্দিক, ছক্কা)
বিরাট কোহলি এবং হার্দিক পাণ্ড্য ক্রিজে পাঁচ ওভার কাটিয়ে ফেললেও তখন ওভারপিছু পাঁচ রানের বেশি উঠছিল না। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১২তম ওভারে ২১ রান দিয়েছিলেন অক্ষর পটেল। ভারতও সেই কাজ করে। মহম্মদ নওয়াজ়ের প্রথম বলেই ছক্কা মারেন হার্দিক। লেগ স্টাম্পের বাইরে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটের উপর দিয়ে বল উড়িয়ে দেন।
১১.৪ ওভার (কোহলি, ছক্কা)
আগের বলে একটা সোজা ডেলিভারি মিস করেছিলেন। এই বলটিতে ফ্লাইট ছিল। কোহলি দেখেই বুঝেছিলেন। সঠিক সময়ে ব্যাটে-বলে হয়। লং অন বাউন্ডারির উপর দিয়ে বল ছক্কা হয়ে যায়।
১১.৬ ওভার (হার্দিক, ছক্কা)
নওয়াজ়ের ওভারের পাঁচ বল থেকে ১৪ রান নেওয়া হয়ে গিয়েছিল ভারতের। তখনও আক্রমণ শেষ হয়নি। নওয়াজ়ের সোজাসুজি আসা বল বেশি ঘোরেনি। হার্দিক সামনের পা এগিয়ে এনে ওপেন স্টান্সের সাহায্যে কার্যত হকির ড্র্যাগ ফ্লিকের মতো কায়দায় বল লং অনের উপর দিয়ে উড়িয়ে দেন। ছক্কা হয়।
১৭.১ ওভার (কোহলি, চার)
শাহিন আফ্রিদিকে আক্রমণ করাই যাচ্ছিল না। তবে ১৭তম ওভার বদলে দিল চিত্রটা। রাউন্ড দ্য উইকেটে অফ স্টাম্পের উপর শর্ট বল করেছিলেন আফ্রিদি। কোহলি বাউন্স বুঝে নিয়ে ডিপ মিডউইকেট দিয়ে বল বাউন্ডারিতে পাঠান।
Virat Kohli's two Unbelievable Sixes & The Commentary - Freaking awesome, Goosebumps.pic.twitter.com/giDl0wvEZ6
— CricketMAN2 (@ImTanujSingh) October 24, 2022
১৭.৩ ওভার (কোহলি, চার)
আবার রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে বল করেন আফ্রিদি। কোহলি আন্দাজ করেছিলেন ফুল লেংথে বল আসতে পারে। তাই কিছুটা সরে গিয়ে লেগ স্টাম্পের দিকে চলে যান। বলটা লো ফুলটস হয়ে আসে। একস্ট্রা কভার দিয়ে চার মারেন কোহলি।
১৭.৬ ওভার (কোহলি, চার)
দু’টি চার খেয়ে ওভার দ্য উইকেট বল করতে শুরু করেন আফ্রিদি। কোহলি ক্রিজ থেকে একটু এগিয়ে দাঁড়ান। মিডল এবং লেগ স্টাম্পের মাঝামাঝি এলাকায় শর্ট বল করেন আফ্রিদি। শর্ট ফাইন লেগ দিয়ে অনায়াসে চার মারেন কোহলি।
১৮.৫ ওভার (কোহলি, ছক্কা)
সম্ভবত কোহলির ইনিংসে সবচেয়ে কঠিন শট। হ্যারিস রউফের প্রথম চারটি বল থেকে মাত্র তিন রান এসেছিল। কোহলি ক্রিজে এমন ভাবে দাঁড়িয়েছিলেন যাতে শর্ট এবং ফুল, দু’ধরনের বলই খেলতে পারেন। রউফ শর্ট বল করেন। কোমরের কাছাকাছি উঠে আসা সেই বলে সোজাসুজি শট মারা অন্যতম কঠিন কাজ। কোহলি অনায়াসে সোজা ব্যাটে খেলে সাইটস্ক্রিনের সামনে ফেলে দেন।
১৮.৬ ওভার (কোহলি, ছক্কা)
কোহলির হাত থেকে বেরোনো দর্শনীয় শটের আরও একটি। দেখে নিয়েছিলেন থার্ড ম্যান এগিয়ে এসেছে। রউফ যে তাঁকে বোকা বানাতে পারেন, সেটা ধরে ফেলেছিলেন আগেই। মিডল স্টাম্পে স্টান্স নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন। রউফের ব্যাক অফ দ্য লেংথ বল কব্জির সামান্য মোচড়ে ফাইন লেগের উপর দিয়ে বাউন্ডারিতে উড়িয়ে দেন।