আশা বাড়ল কোহলীদের। —ফাইল চিত্র
ম্যাচের দিন সফর বাতিল। নিউজিল্যান্ডের এই আচরণ একে বারেই মেনে নিতে পারেনি পাকিস্তান। ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান রামিজ রাজা বলেই রেখেছিলেন বদলা নেওয়া হবে টি২০ বিশ্বকাপে। সেটাই করে দেখালেন বাবর আজমরা। ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডকে চাপে রেখে গেলেন তাঁরা। ৮ বল বাকি থাকতেই ৫ উইকেট হাতে নিয়ে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচেও জয় পাকিস্তানের।
একদিকে পাকিস্তান যখন অপমানের বদলা নিচ্ছে, ভারতীয় সমর্থকরা চাইছেন বাবরদের জয়। রবিবার যে প্রতিপক্ষের কাছে ১০ উইকেটে হারের লজ্জা সইতে হয়েছে, সেই পাকিস্তানের জয়ের দিকেই তাকিয়ে বসেছিলেন ভারতীয় সমর্থকরা। কেন?
নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে গ্রুপ বি-তে শীর্ষ স্থান ধরে রাখল পাকিস্তান। দুই ম্যাচে তাদের পয়েন্ট চার। এই গ্রুপ থেকে সেমিফাইনালে যাওয়া প্রায় নিশ্চিত করেই ফেললেন বাবররা। লড়াই হবে দ্বিতীয় স্থানের জন্য। ৩১ অক্টোবর নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলতে নামবে ভারত। সেই ম্যাচে যে দল জিতবে সেমিফাইনালে যাওয়ার দিকেও তারাই এগিয়ে থাকবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
গ্রুপ বি-তে ভারত, পাকিস্তান এবং নিউজিল্যান্ড ছাড়া বাকি তিন দল আফগানিস্তান, নামিবিয়া এবং স্কটল্যান্ড। ভারতীয় সমর্থকদের মতে এই তিন দলের বিরুদ্ধেই অনায়াসে জিতবে প্রথম তিনটি দল। ফলে নিজেদের মধ্যে ম্যাচগুলি খুব গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। পাকিস্তান নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে দেওয়ায় ভারতের বিরুদ্ধে তাদের ম্যাচ খুব গুরুত্বপূর্ণ।
পাকিস্তান বাকি তিন ম্যাচেও জিতবে বলেই মনে করা হচ্ছে। নিউজিল্যান্ড এবং ভারতও যদি আফগানিস্তান, স্কটল্যান্ড এবং নামিবিয়ার বিরুদ্ধে জেতে, তা হলে ৩১ তারিখের ম্যাচই সেমিফাইনালে ওঠার জন্য নির্ণায়ক হয়ে উঠবে। মঙ্গলবার যদি নিউজিল্যান্ড জিতে যেত, এবং রবিবারের ম্যাচে ভারত হারত তা হলে ভারতের কাছে সুযোগ কমে যেত সেমিফাইনাল যাওয়ার, কারণ পাকিস্তানের কাছে আগেই হেরে রয়েছে তারা।
মঙ্গলবার তাই নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে অপমানের জ্বালা জুড়ানোর সঙ্গে ভারতীয় সমর্থকদের মুখেও হাসি ফোটালেন বাবররা।