দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটারদের উল্লাস। ছবি: পিটিআই।
রাউন্ড রবিন লিগের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারিয়ে বিশ্বকাপের পয়েন্ট তালিকায় দ্বিতীয় স্থান মজবুত করল দক্ষিণ আফ্রিকা। শুক্রবার আমদাবাদে আফগানদের পাঁচ উইকেটে হারাল টেম্বা বাভুমার দল। কিন্তু রান তাড়া করতে নেমে প্রোটিয়াদের জয় সহজে আসেনি। হোঁচট খেতে হল একাধিক বার। তবে শেষ পর্যন্ত থেকে দলকে জয় এনে দিলেন রাসি ফান ডার ডুসেন। যোগ্য সঙ্গত দিলেন অ্যান্ডিল ফেলুকায়োও। আগে ব্যাট করে আফগানিস্তানের তোলা ২৪৪ রান পাঁচ উইকেট হারিয়েই তুলে ফেলল দক্ষিণ আফ্রিকা। বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের দৌড় শেষ হয়ে গেলেও চারটি জয় নিয়ে রশিদ খানেরা ফিরবেন মাথা উঁচু করেই।
এ বারের বিশ্বকাপে তিন বার রান তাড়া করতে হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। প্রথম বার নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে অবিশ্বাস্য ভাবে হেরে গিয়েছিল তারা। প্রতিযোগিতার সেটা অন্যতম সেরা অঘটন। এর পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শেষ উইকেটে খোঁড়াতে খোঁড়াতে কোনও মতে জিতেছিল। কেশব মহারাজ নায়ক হয়ে গিয়েছিলেন শেষ পর্যন্ত থেকে দলকে জিতিয়ে। শুক্রবার বিশ্বকাপের আর এক অঘটনকারী আফগানিস্তানের বিরুদ্ধেও দক্ষিণ আফ্রিকা সহজে সুবিধা করতে পারেনি। প্রথম সারির একাধিক ব্যাটার রান করতে পারেননি।
২৪৫ রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা খারাপ হয়নি প্রোটিয়াদের। প্রথম উইকেটে উঠে যায় ৬৪ রান। অধিনায়ক বাভুমা ২৩ রানে ফেরেন। কিছু ক্ষণ পরেই অকারণে রিভার্স সুইপ মারতে গিয়ে উইকেট দেন কুইন্টন ডি’কক। এর পর এডেন মার্করাম, হেনরিখ ক্লাসেন এবং ডেভিড মিলারকে একে একে হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
মনে হচ্ছিল পাকিস্তান বা নেদারল্যান্ডস ম্যাচের মতোই দশা হতে চলেছে তাদের। কিন্তু ডুসেন এবং ফেলুকায়োর দাপটে সেই অবস্থা হয়নি। আফগানিস্তানের বোলারদের বিরুদ্ধে তাঁদের লড়াই করে দলকে জয় এনে দিল। বিশ্বকাপে দু’টি শতরান করে ফেলা ডুসেন অপরাজিত থাকলেন ৭৬ রানে। ফেলুকায়োর আলাদা করে প্রশংসা প্রাপ্য। এমনিতে তিনি বোলার। কিন্তু চাপের মুখে অলরাউন্ডারের ভূমিকা পালন করে গেলেন। ৪৮তম ওভারে নবীন উল-হককে ছয়, চার এবং ছয় মেরে দলকে জিতিয়ে দিলেন। অপরাজিত থাকলেন ৩৯ রানে।
আফগানিস্তান অবশ্য ২৪৪ তুলবে এটা অনেকেই ভাবতে পারেননি। দক্ষিণ আফ্রিকার চার পেসারের দাপটে একটা সময় বেশ বিপদেই পড়ে যায়। শতরানকারী ইব্রাহিম জাদরান (১৫) বা ফর্মে থাকা রহমত শাহ (২৬) রান পাননি। এই অবস্থায় আফগানিস্তানের ত্রাতা হয়ে দাঁড়ান আজমাতুল্লা ওমরজ়াই। কাগিসো রাবাডা, লুনগি এনগিডিদের সামলে ভালই খেলছিলেন।
আফগানিস্তানের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসাবে শতরানের সুযোগ চলে এসেছিল আজমাতুল্লার সামনে। শেষ ওভারে তিনটি বল পেয়েওছিলেন। কিন্তু রাবাডার সেই তিনটি বলে কোনও রান করতে পারেননি। অপরাজিত থেকে যান ৯৭ রানে।