প্রতীকী ছবি।
জায়গা হয়নি ভারতের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে। কলকাতা নাইট রাইডার্সের সেই প্রাক্তন ক্রিকেটার ব্যাট হাতে ঝড় তুললেন সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে। ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতায় শুভমন গিলের দাপুটে শতরানের সুবাদে পঞ্জাব ৯ রানে হারাল কর্নাটককে।
টস জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন কর্নাটকের অধিনায়ক ময়ঙ্ক অগ্রবাল। তাঁর সিদ্ধান্তকে ভুল প্রমাণ করে দিলেন শুভমন। ওপেন করতে নেমে শুরু থেকেই তিনি ছিলেন আগ্রাসী মেজাজে। উইকেটের অন্য প্রান্তে পর পর ২ উইকেট পড়লেও দমানো যায়নি কলকাতার প্রাক্তন ব্যাটারকে। তাঁর ব্যাট থেকে এল ৫৫ বলে ১২৬ রানের ঝকঝকে ইনিংস। ১১টি চার এবং ন’টি বিরাট ছক্কা মারলেন তিনি। ৩০ বলে ৫০ রান করার পর আরও আগ্রাসী হয়ে ওঠেন শুভমন। শতরান পূর্ণ করেন ৪৯ বলে।
শুভমনের পর পঞ্জাবের দ্বিতীয় সফলতম ব্যাটার আনমলপ্রীত সিংহ। তিনি করেন ৪৩ বলে ৫৯ রান। ১৩ বলে ২৭ রান করে অপরাজিত থাকেন সানবীর সিংহ। মূলত শুভমনের শতরানের ইনিংসে ভর করেই কর্নাটকের বিরুদ্ধে ৪ উইকেটে ২২৫ রান করে পঞ্জাব। উল্লেখ্য, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এটাই শুভমনের প্রথম শতরান। একই সঙ্গে মঙ্গলবারের ম্যাচে ২০ ওভারের ক্রিকেটে ২৫০০ রানও পূর্ণ করলেন পঞ্জাবের ব্যাটার। ৯৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে তাঁর রান হল ২৫৩২। গড় ৩৩.৩১। স্ট্রাইক রেট ১২৮.৫২। ১৭টি অর্ধশতরান রয়েছে তাঁর। দেশের হয়ে ১১টি টেস্ট এবং ১২টি এক দিনের ম্যাচ খেললেও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়নি ২৩ বছরের ওপেনিং ব্যাটার।
জয়ের জন্য ২২৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে কর্নাটক করল ৬ উইকেটে ২১৬ রান। রান পেলেন না অধিনায়ক ময়ঙ্ক (৮)। ব্যর্থ হলেন অন্য ওপেনার রোহন পাতিল (২) এবং তিন নম্বরে নামা লুবনিত সিসোদিয়াও (৬)। পঞ্জাব শিবিরে পাল্টা লড়াই পৌঁছে দিলেন মূলত ছয় নম্বরে নামা অভিনব মনোহর। ২৯ বলে ৬২ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। নিজের ইনিংসটি সাজান পাঁচটি চার এবং পাঁচটি ছয় দিয়ে। ভাল ব্যাট করলেন মণীশ পাণ্ডে (২৯ বলে ৪৫), মনোজ ভান্ডেজ (৯ বলে ২৫) এবং কৃষ্ণাপ্পা গৌতম (১৪ বলে অপরাজিত ৩০)। তাতেও লক্ষ্য থেকে ১০ রান দূরেই থামতে হল কর্নাটককে।