বিরাট কোহলি। —ফাইল চিত্র।
বাংলাদেশকে ৭ উইকেট হারিয়ে দিলেও লড়াই থামছে না। মাঠের লড়াই শেষ হলেও কথার লড়াই চলছে। আর সেই লড়াইয়ের মূল বিষয় বিরাট কোহলি ব্যাট করার সময় ওয়াইড না দেওয়া। ভারতীয় দলের ওপেনার শুভমন গিল প্রশ্ন তুলে দিলেন, ইচ্ছাকৃত ভাবে ওয়াইড করার চেষ্টা করেছেন কি না বাংলাদেশের বোলার নাসুম আহমেদ। যা নাকচ করে দিলেন বাংলাদেশের নাজমুল হাসান শান্ত।
চার ম্যাচে ভারতের ৮ পয়েন্ট। বাংলাদেশ সেখানে চার ম্যাচে পেয়েছে মাত্র ২ পয়েন্ট। একটি মাত্র ম্যাচ জিতেছে তারা। বৃহস্পতিবার ভারতের বিরুদ্ধে ২৫৬ রান করে বাংলাদেশ। সেই রান তাড়া করতে নেমে বিরাট শতরান করে ম্যাচ জেতান। কিন্তু শেষের দিকে বিরাটের শতরান করতে প্রয়োজন ছিল ৩ রান। ভারতের জয়ের জন্য দরকার ছিল ২ রান। এমন অবস্থায় নাসুমের বল লেগ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে চলে যায়। কিন্তু আম্পায়ার ওয়াইড দেননি।
এই ঘটনায় শুভমন অন্য প্রশ্ন তুললেন। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “কী নিয়ে অবাক হব বুঝতে পারছি না। ওয়াইড না দেওয়া নিয়ে না কি ওয়াইড করার চেষ্টা নিয়ে। আমি জানি না ইচ্ছাকৃত ভাবে ওয়াইড করার চেষ্টা হল কি না।” যদিও শুভমনের সেই দাবি মানতে চাননি শান্ত। তিনি বলেন, “এমন কোনও পরিকল্পনা করা হয়নি। কোনও বোলার ইচ্ছাকৃত ভাবে ওয়াইড বল করে না। আমরা সঠিক ভাবেই ম্যাচ খেলেছি। ইচ্ছাকৃত ভাবে ওয়াইড করা হয়নি।”
আইসিসি-র পুরনো নিয়ম অনুযায়ী, একটি বৈধ্য বল (নো বল এমন) যদি ব্যাটার যেখানে দাঁড়িয়ে রয়েছেন, সেখানের থেকে দূরে করা হয় তাহলে বলটি ওয়াইডের নির্দেশ দেওয়া হবে। কিন্তু এই নিয়ম পাল্টে যায় ২০২২ সালের মার্চ মাসে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, বোলার বল করার সময় ব্যাটার যেখানে দাঁড়িয়ে রয়েছেন, সেখানের থেকে দূরে বল করলে ওয়াইড হবে। কিন্তু বোলার বল করে দেওয়ার পর ব্যাটার নিজের জায়গা সরে গেলে সেটা ওয়াইড হবে না। বল লেগ সাইডের বাইরে যাচ্ছে দেখে বিরাট ইচ্ছাকৃত ভাবে সরে গিয়েছিলেন। সেই কারণে ওয়াইড দেননি আম্পায়ার।