Sachin-Kambli School

বিতর্কে সচিন-কাম্বলির সেই স্কুল! বেতন দিতে না পারায় পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হল না ছাত্রীকে

যে স্কুলের হয়ে ক্রিকেটার হিসাবে প্রথম নজর কেড়েছিলেন সচিন ও কাম্বলি, সেই সারদাশ্রম এ বার বিতর্কে। বেতন দিতে না পারায় দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়নি।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২৩ ১৫:৪১
সারদাশ্রম বিদ্যামন্দিরের হয়ে ক্রিকেট জীবন শুরু হয়েছিল সচিন ও কাম্বলির। সেই স্কুলই এ বার বিতর্কে জড়াল।

সারদাশ্রম বিদ্যামন্দিরের হয়ে ক্রিকেট জীবন শুরু হয়েছিল সচিন ও কাম্বলির। সেই স্কুলই এ বার বিতর্কে জড়াল। —ফাইল চিত্র

যে স্কুলের ছাত্র ছিলেন সচিন তেন্ডুলকর ও বিনোদ কাম্বলি, সেই স্কুলের হয়েই মুম্বইয়ের ঘরোয়া ক্রিকেটে হাতেখড়ি তাঁদের। সেই স্কুলেরই ক্রীড়া প্রশিক্ষক রমাকান্ত আচরেকরের হাত ধরে ধীরে ধীরে ক্রিকেটে বড় নাম হয়ে ওঠা সচিন-কাম্বলির। সেই সারদাশ্রম বিদ্যামন্দিরই এ বার বিতর্কে। বেতন দিতে না পারায় দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে পরীক্ষায় বসতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।

ছাত্রীর বাবা মৃগেন্দ্র রাণে জানিয়েছেন, দাদারে তাঁর একটি ছোট দোকান রয়েছে। কয়েক মাস আগেই সারদাশ্রম বিদ্যামন্দিরে মেয়েকে ভর্তি করিয়েছিলেন তিনি। প্রাথমিকে স্কুলের বেতন বছরে ৭৭ হাজার টাকা। কিছু টাকা তিনি দিয়েছিলেন। কিন্তু পুরোটা দিতে পারেননি। তাই তাঁর মেয়েকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়নি।

Advertisement

মৃগেন্দ্র বলেছেন, ‘‘স্কুলের নাম শুনে মেয়েকে ভর্তি করিয়েছিলাম। কিন্তু ওকে স্টাফ রুমে বসিয়ে রাখা হল। ওর সব সহপাঠীরা পরীক্ষা দিল। এতে আমার মেয়ে খুব হতাশ হয়ে পড়েছে। এ রকম যে হতে পারে সেটা ও ভাবতে পারছে না। সারা রাত ঘুমাতে পারছে না ও।’’

মৃগেন্দ্র স্বীকার করে নিয়েছেন যে তিনি পুরো বেতন দিতে পারেননি। কিন্তু তাতে তো তাঁর মেয়ের কোনও দোষ নেই। তিনি বলেছেন, ‘‘আমি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলাম যে বেতন দিতে একটু দেরি হবে। তার দায় আমার। কিন্তু শাস্তি পেতে হল আমার মেয়েকে। ওর সঙ্গে যে ব্যবহার করা হয়েছে সেটা ঠিক নয়। তাই আমি স্কুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছি।’’

মহারাষ্ট্রের শিশু সুরক্ষা কমিশন ও শিক্ষা দফতরে অভিযোগ জানিয়েছেন মৃগেন্দ্র। অভিযোগ পেয়ে সারদাশ্রম স্কুলের অধ্যক্ষকে ডেকে পাঠায় শিক্ষা দফতর। তাঁকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, শুক্রবার আলাদা করে ছাত্রীর পরীক্ষা নিতে। এই ঘটনায় শিক্ষা দফতরে একটি রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অধ্যক্ষকে।

আরও পড়ুন
Advertisement