চেন্নাই বিমানবন্দরে অশ্বিন। ছবি: পিটিআই।
বুধবার ব্রিসবেন টেস্ট শেষ হওয়ার পরেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে দেশে ফিরলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। চেন্নাই বিমানবন্দর থেকে অশ্বিনের বাড়ি, সর্বত্রই অফস্পিনারকে নিয়ে সমর্থকদের মাতামাতি দেখা দিয়েছে। অশ্বিন জানিয়ে দিয়েছেন, ক্রিকেটার হিসাবে এখনও শেষ হয়ে যাননি তিনি।
অবসর ঘোষণার পরে রাতেই দেশে ফেরার বিমান ধরেন অশ্বিন। সময় কম থাকার কারণে ভাল করে বিদায় সংবর্ধনাও দিতে পারেনি দল। এ দিন সকালে চেন্নাই বিমানবন্দরে নামেন। বাইরে জড়ো হওয়া সমর্থকদের দিকে হাত নাড়িয়ে গাড়িতে উঠে যান। কিছু ক্ষণ পরে নিজের বাড়িতে পৌঁছন। সেখানে আগে থেকেই সমর্থকেরা ছিলেন। তাঁরা ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে, ঢাক-ঢোল বাজিয়ে অশ্বিনকে বরণ করে নেন। অশ্বিনের বাবা এসে ছেলেকে জড়িয়ে ধরেন এবং কপালে চুমু খান। ছিলেন অশ্বিনের মা এবং বাকি আত্মীয়েরাও। সমর্থকদের নিরাশ করেননি অফস্পিনার। মালা পরা ছাড়াও তাঁদের সঙ্গে নিজস্বী তোলেন এবং সই দেন।
বাড়িতে সংবাদমাধ্যমের সামনে অশ্বিন বলেন, “অনেক মানুষেরই আবেগ রয়েছে। সেটাকে সমীহ করি। আস্তে আস্তে সব সয়ে যাবে। তবে আমার কাছে এটা বিরাট শান্তি এবং তৃপ্তির ব্যাপার।” কোনও দিন দেশের অধিনায়কত্ব না করা নিয়েও আক্ষেপ নেই অশ্বিনের। বলেছেন, “আর তো ভেবে লাভ নেই। আমার কাজ শেষ। কোনও আক্ষেপ নেই। আমি অনেক মানুষকে দেখেছি দূর থেকে আক্ষেপ করতে। আমি সে ভাবে জীবন কাটাতে চাই না।”
অশ্বিনের সংযোজন, “ক্রিকেটজীবনে আমরা অনেক ঘটনার মধ্যে দিয়ে যাই। সাধারণত ঘুমোতে যাওয়ার সময় অনেক কিছু আমার মাথায় ঘোরে। যেমন উইকেট নেওয়া বা রান করা। গত দু’বছর ধরে সে রকম কোনও স্মৃতি ভেসে আসছিল না। তখনই বুঝতে পেরেছিলাম এ বার অন্য পথ নেওয়া দরকার।”
সব ছেড়ে আপাতত আইপিএলেই মন দিয়েছেন অশ্বিন। বলেছেন, “এখনই কোনও পরিকল্পনা নেই। একটু আরাম করতে চাই। তবে চুপচাপ বসে থাকার ছেলে নই। সিএসকে-র হয়ে খেলতে নামব। যদি দীর্ঘ দিন খেলতে পারি তা হলে অবাক হবেন না। ক্রিকেটার অশ্বিন এখনও শেষ হয়ে যায়নি। তবে ভারতীয় ক্রিকেটার হিসাবে অশ্বিনের যাত্রা শেষ হয়েছে।”
১৩ বছর আগের বিশ্বকাপজয়ের স্মৃতি মনে পড়ে গিয়েছে অশ্বিনের। সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, “আমি ভাবতেও পারিনি এত লোক আসবেন। শেষ বার ২০১১ সালের বিশ্বকাপের সময় এটা দেখেছিলাম। সেই স্মৃতি ফিরে এল।”