সহজ তিনটি উপায়েই ব্ল্যাকহেড্সের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে পারেন। ছবি: ফ্রিপিক।
ব্ল্যাকহেড্স এমন এক সমস্যা যা মেকআপ দিয়েও ঢাকা যায় না। নাকের উপর, দুই পাশে, থুতনিতে গুটি গুটি ব্ল্যাকহেড্সে ছেয়ে যায়। সাঁলোতে সেগুলিকে যন্ত্রের সাহায্যে পরিষ্কার করতে বেশ যন্ত্রণাই পোহাতে হয়। কিন্তু এর পরেও নিশ্চিন্ত থাকা যায় না। কারণ স্যালোঁ বা পার্লারে নিয়মমাফিক পরিচর্যার কিছু দিন পর আবারও মাথাচাড়া দেয় এই সমস্যা। তাই যদি ব্ল্যাকহেড্সের সমস্যা থেকে দীর্ঘ সময়েরজন্য রেহাই পেতে হয়, তা হলে পার্লারের উপর ভরসা করলে চলবে না। বরং বরং ব্ল্যাকহেড্সকে জব্দ করুন ঘরোয়া উপায়েই।
কোন কোন উপাদানে ভর দিয়ে এই ব্ল্যাকহেডসের সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন জানেন? সপ্তাহে দিন কয়েক ঘরোয়া নিয়মে নেওয়া যত্নেই সরাতে পারেন এটি। দেখে নিন কী কী উপায়ে তা সম্ভব।
ত্বকে বেশি তৈলাক্ত ভাব থাকলেই ব্ল্যাকহেড্সের সমস্যা হবে। কেবল নাকে নয়, দুই গালেও অতি সূক্ষ্ম কালো বিন্দুর মতো ফুটে উঠতে দেখা যায়। ত্বকের উন্মুক্ত রন্ধ্রের উপর জমতে থাকলে তা দেখতে মোটেই ভাল লাগে না। গালের উপর ব্ল্যাকহেড্স জন্মালে তা সহজে দূর করাও যায় না। সাঁলোতে যে যন্ত্র দিয়ে চেপে ব্ল্যাকহেড্স তোলা হয়, তা বাড়িতে করা বিপজ্জনক হতে পারে। আর ওই পদ্ধতি যন্ত্রণাদায়কও তা হলে উপায়?
মুখের অতিরিক্ত তেল ধুয়ে নিলেই কাজ হবে না। ত্বককে ভিতর থেকে পরিষ্কার করতে, মৃত কোষ দূর করতে এক্সফোলিয়েট করাও জরুরি। তার জন্য কী কী ঘরোয়া উপাদান ব্যবহার করতে পারেন জেনে নিন।
চিনির স্ক্রাব
‘ফাংশনাল প্ল্যান্ট সায়েন্স অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি’ বিজ্ঞানপত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চিনির স্ক্রাব খুব ভাল ভাবে ত্বক এক্সফোলিয়েট করতে পারে। অর্থাৎ ত্বকের ভিতর থেকে মৃত কোষ টেনে বার করতে পারে। বাজারচলতি যে কোনও স্ক্রাবারের চেয়ে কয়েকগুণে ভাল চিনির স্ক্রাব। চিনি সব বাড়িতেই থাকে। কাজেই সহজে চিনি দিয়েই বানিয়ে ফেলুন স্ক্রাব। কী ভাবে?
আধ চা চামচ চিনির সঙ্গে এক চামচ নারকেল তেল অথবা আমন্ড অয়েল বা জোজোবা অয়েল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ ভাল করে ত্বকে মালিশ করতে হবে ৫ মিনিট ধরে। এর পর মিনিট ১৫ রেখে পরিষ্কার জলে মুখ ধুয়ে ফেলুন। গালে অনেক বেশি ব্ল্যাকহেড্স থাকলে সপ্তাহে ২-৩ দিন করতে পারেন।
টি ট্রি তেল
টি ট্রি তেলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে। তা ছাড়া এই তেলের অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল গুণও আছে। ত্বকের যে কোনও সংক্রমণ, দাগছোপ, ব্রণ-ফুস্কুড়ির সমস্যা দূর করতে পারে টি ট্রি অয়েল। তবে ঠিকমতো ব্যবহার করতে হবে। প্রথমে উষ্ণ জলে ভাল করে মুখ ধুয়ে নিন। শুকনো করে মুছে তুলোয় করে টি ট্রি অয়েল নিয়ে গালের যেখানে ব্ল্যাকহেড্স হয়েছে সেখানে লাগিয়ে রাখতে হবে। তবে এসেনশিয়াল অয়েল সরাসরি ত্বকে লাগালে যদি কোনও সমস্যা হয়, সে জন্য নারকেল তেল বা আমন্ড অয়েলে মিশিয়ে নিতে পারেন। মিনিট ১৫ রেখে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।
মধুর স্ক্রাব
ত্বকের জন্য খুবই উপকারী মধু। এক চা চামচ মধুর সঙ্গে এক চামচ চিনি ও এক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে ভাল করে ত্বকে মালিশ করে নিন। ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেললেই ত্বকের উন্মুক্ত রন্ধ্রে জমে থাকা ধুলোময়লা বেরিয়ে যাবে। সপ্তাহে ২-৩ দিন করতে পারলে ব্ল্যাকহেড্সের সমস্যা থেকে রেহাই মিলবে।