ইডেনে ওড়িশাকে হারাতে পারলেন না মনোজরা। ফাইল ছবি।
ঘরের মাঠে ওড়িশাকে হারাতে পারল না বাংলা। ইডেনে রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে ৭ উইকেটে হেরে গেলেন মনোজ তিওয়ারিরা। শুক্রবার ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ১১২ রান তুলে নিল ওড়িশা। বাংলার দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয় ২৭৬ রানে। ঘরের মাঠেই মরসুমের প্রথম হারের স্বাদ পেল বাংলা।
প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং ব্যর্থতার মাশুল দিতে হল মনোজদের। তুলনায় দুর্বল ওড়িশার কাছে হারতে হল রঞ্জি ট্রফির গ্রুপের শেষ ম্যাচে। শুক্রবার সকালে বাংলার দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয় ২৭৬ রানে। এর পর জয়ের জন্য ওড়িশার প্রয়োজন ছিল ১১২ রান। সহজেই সেই রান তুলে নিল তারা। এই ম্যাচ হারলেও বাংলার নটআউট পর্বে খেলা অবশ্য আটকাচ্ছে না। এই ম্যাচের আগেই রঞ্জির কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিলেন মনোজরা।
তৃতীয় দিনের শেষে বাংলার দ্বিতীয় ইনিংসের রান ছিল ৩ উইকেটে ২২০। উইকেটে ছিলেন অভিমন্যু ঈশ্বরণ এবং অধিনায়ক মনোজ। বৃহস্পতিবারই শতরানের ইঙ্গিত ছিল অভিমন্যুর ব্যাটে। তিনি হতাশ করেননি দলকে। তাঁর ব্যাট থেকে এল ১০১ রানের ইনিংস। ১৪টি চার দিয়ে সাজিয়েছেন নিজের ইনিংস। শতরান পূর্ণ করলেও দলকে আরও ভাল জায়গায় পৌঁছে পারলেন না। ব্যাট হাতে লড়াই করলেন মনোজও। সাতটি চারের সাহায্যে বাংলার অধিনায়কের ব্যাট থেকে এল ৫২ রানের ইনিংস। চতুর্থ উইকেটের জুটিতে অভিমন্যু-মনোজ তোলেন ১১২ রান। কিন্তু তার পর আর প্রয়োজনীয় জুটি তৈরি করতে পারলেন না বাংলার ব্যাটাররা।
ছয় নম্বরে নেমে উইকেটরক্ষক অভিষেক পোড়েল আগ্রাসী মেজাজে ৩০ বলে ৩৮ রান করলেও বাংলার বাকি ব্যাটারদের কেউই উইকেট দাঁড়াতে পারলেন না। আকাশ ঘটক (৫), প্রীতম চক্রবর্তী (১), গীত পুরিরা (শূন্য) উইকেটে দাঁড়াতেই পারলেন না। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ঈশান পোড়েল (শূন্য)। চোটের জন্য দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যাট করতে পারেননি অনুষ্টুপ মজুমদার।
ওড়িশার সফলতম বোলার সুনীল কুমার রউল ৯৬ রান দিয়ে ৬ উইকেট নিলেন। ৩৩ রান দিয়ে ২ উইকেট বসন্ত মোহান্তির। ৪৭ রানে ১ উইকেট সূর্যকান্ত প্রধানের।
৭৯ ওভারে ২৭৬ রানে বাংলার দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হওয়ার পর ওড়িশার সামনে জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১১২ রান। কারণ, বাংলার প্রথম ইনিংস শেষ হয়েছিল মাত্র ১০০ রানে। ২২.২ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে জয় ছিনিয়ে নেয় তারা। ওপেনার অনুরাগ সারেঙ্গি করলেন ৩৭ রান। যদিও অপর ওপেনার শান্তনু মিশ্র (৪) ব্যর্থ হলেন। দলকে জয় এনে দিতে পারলেন না তিন নম্বরে নামা অধিনায়ক শুভ্রাংশু সেনাপতিও (২২)। শেষ পর্যন্ত উইকেটে থাকেন সন্দীপ পট্টনায়ক (২৮) এবং রাকেশ পট্টনায়ক (২০)। বাংলার আকাশ ২৯ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। ২২ রান দিয়ে একটি উইকেট ঈশানের।