রঞ্জি ফাইনাল হেরে হতাশ মনোজ। ফাইল ছবি।
শেষ তিন মরসুমে দু’বার রঞ্জি ফাইনালে উঠেও ট্রফি অধরা বাংলার। আবার হার সেই সৌরাষ্ট্রের কাছেই। এ বার ঘরের মাঠে ফাইনাল খেলার সুযোগ পেয়েও চ্যাম্পিয়ন হওয়া হল না মনোজ তিওয়ারিদের। স্বাভাবিক ভাবেই হতাশ বাংলার অধিনায়ক।
ক্রিকেটের ২২ গজে সম্ভবত আর দেখা যাবে না মনোজকে। চেয়েছিলেন বাংলাকে তৃতীয় বার রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন করে অবসর নিতে। সেই স্বপ্ন পূরণ হল না তাঁর। ম্যাচের পর হতাশ মনোজ বলেছেন, ‘‘আমাদের মরসুমটা বেশ ভাল কাটল। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য জয়দেব উনদকাট এবং ওর দলকে অভিনন্দন। ফাইনাল ম্যাচ খেলার জন্য উনদকাটকে ভারতীয় দল থেকে ছেড়ে দেওয়ায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে ধন্যবাদ। ওরা (সৌরাষ্ট্র) একটা নজির তৈরি করল।’’
মনোজের কথায় উঠে এসেছে ফাইনালে বাংলার ব্যর্থতাও। তাঁর দাবি, ম্যাচের ফলে প্রভাব ফেলেছে টস। মনোজ বলেছেন, ‘‘প্রথম দিন টস হারা থেকেই আমরা পিছিয়ে পড়েছিলাম। উইকেটে ভেজা ভাব ছিল। তার পর থেকে আমরা কখনই লড়াই করতে পারিনি। প্রথম দিনই অনেকটা পিছিয়ে পড়েছিলাম আমরা। বাংলার ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য খারাপ লাগছে। আমরা সত্যিই দুঃখিত। এর মধ্যেও আনন্দ দিয়েছে বোলাররা। ওরা যে ভাবে বল করেছে, তার প্রশংসা করতেই হবে।’’
রবিবার সকালে বাংলার ইনিংস শেষ হয় ২৪১ রানে। আগ্রাসী ব্যাটিং করে প্রতিপক্ষের উপর চাপ তৈরির একটা চেষ্টা করেছিলেন বাংলার ব্যাটাররা। তাতেও লাভ হয়নি। শেষ দিকে মুকেশ কুমার (অপরাজিত ১৫) এবং ঈশান পোড়েল (২২) মরিয়া চেষ্টা করেছিলেন দলকে যতটা সম্ভব এগিয়ে রাখার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জয়ের জন্য সৌরাষ্ট্রের দরকার হয় মাত্র ১২ রান। এক উইকেট হারিয়েই সেই উইকেট তুলে নেন উনদকাটরা। ঘরের মাঠে স্বপ্নভঙ্গ হল বাংলার।