(বাঁ দিকে) ঈশান কিশন এবং শ্রেয়স আয়ার। —ফাইল চিত্র।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ়ের শুরুতে পিছিয়ে পড়েও ৪-১ ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন রোহিত শর্মারা। ক্রিকেটারদের এমন দাপুটে জয়ে গর্বিত ভারতীয় দলের কোচ রাহুল দ্রাবিড়। দলের তরুণ ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সেও খুশি দ্রাবিড়।
ধর্মশালা টেস্ট শেষ হওয়ার পর দ্রাবিড় বলেছেন, ‘‘এই দলের জন্য আমি গর্বিত। প্রথম টেস্টে হারটা খুব হতাশার ছিল। কিন্তু আমরা দারুণ ভাবে ফিরে এসেছি। আমরা সেই ক্রিকেটারদের খোঁজে থাকি, যারা শূন্যস্থান পূরণ করতে পারে। যারা দায়িত্ব নিতে পারে। এই সিরিজ়ে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে আমরা চাপে পড়েছি। কয়েক জন গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটারকে আমরা পাইনি। এটা যেমন ঠিক, তেমনই ভারতে অবিশ্বাস্য কিছু ক্রিকেট প্রতিভা রয়েছে। তরুণদের ভাল পারফরম্যান্স আলাদা স্বস্তি দেয়।’’
দ্রাবিড়ের মতে এই সাফল্য দলগত প্রচেষ্টার ফল। সিরিজ় জেতার জন্য সকলেই মরিয়া ছিল। তিনি জানিয়েছেন, দলের সবাই কিছু না কিছু করার চেষ্টা করেছে। তিনি বলেছেন, ‘‘আমি একটা দুর্দান্ত দলের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছি। এটা আমার সৌভাগ্য। নিজেও সব সময় শিখছি ছেলেদের কাছে। রোহিতের সঙ্গে কাজ করতেও দারুণ লাগছে। রোহিত দারুণ নেতা। ছেলেদের আকর্ষণ করার একটা ক্ষমতা রয়েছে ওর মধ্যে।’’
এই সাফল্যের পর কি শ্রেয়স আয়ার, ঈশান কিশনের জন্য জাতীয় দলের দরজা বন্ধ হয়ে যাবে? ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড আগেই তাঁদের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে সরিয়ে দিয়েছে। দ্রাবিড় জানিয়েছেন, দলের দরজা সবার জন্য খোলা। তিনি বলেছেন, ‘‘চুক্তি সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত আমি নিই না। চুক্তির শর্ত কী, তা-ও জানি না। আমি আর রোহিত আলোচনা করে প্রথম একাদশ বেছে নিই। কার সঙ্গে চুক্তি আছে, কার সঙ্গে চুক্তি নেই সেটা আমাদের বিচার্য নয়। আমরা শুধু পারফরম্যান্স আর ফিটনেস দেখি। সকলেরই এমন পারফর্ম করা উচিত, যাতে জাতীয় নির্বাচকেরা উপেক্ষা করতে না পারে। দলে নিতে বাধ্য হয়। পারফরম্যান্স করতে পারলে সবার জন্য দলের দরজা খোলা রয়েছে।’’
দলের সাফল্যের জন্য অজিত আগরকরের নির্বাচক কমিটিকেও কৃতিত্ব দিয়েছেন দ্রাবিড়। ভারতীয় দলের কোচ বলেছেন, ‘‘অজিত এবং ওর সহযোগীদের কথাও বলব। ওরা যোগ্য ক্রিকেটারদের বেছে নিয়েছে। সবাই দেখেছেন, নতুনেরা কেমন পারফর্ম করেছে। নির্বাচক হওয়া সহজ নয়। কোচ বা অধিনায়ক হিসাবে অনেক সময়ই আমরা তরুণদের দলে আসার পর দেখি। কিন্তু আগেই সেই কাজটা করে ফেলেন নির্বাচকেরা। ভাল পারফরম্যান্স অনেক থাকে। সেখান থেকে সঠিক খেলোয়াড়কে বেছে নেওয়া খুবই কঠিন।’’
এখনকার ভারতীয় দলের চরিত্র বোঝাতে গিয়ে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের কথা বলেছেন দ্রাবিড়। মায়ের অসুস্থতার জন্য রাজকোট টেস্টের মাঝে বাড়ি গিয়েও এক দিন পর ফিরে এসেছিলেন অশ্বিন। ভারতীয় দলের কোচ বলেছেন, ‘‘দলের প্রতি ছেলেদের দায়বদ্ধতা কতটা, অশ্বিন দেখিয়ে দিয়েছে। সবাই এ ভাবেই ভাবে। এটাই এই দলের চরিত্র।’’