ফাইল চিত্র।
পরপর দু’ইনিংসে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা এই মুহূর্তে কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের কাছে সবচেয়ে বড় চিন্তার কারণে পরিণত হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, নির্বাচকদের সঙ্গে এ নিয়ে দ্রুত আলোচনা করতে চান। তাঁর প্রশিক্ষণে ভারত বিদেশে তিনটি টেস্টই হারল। যার দু’টি দক্ষিণ আফ্রিকায়। অন্যটি বার্মিংহ্যামে ইংল্যান্ডের কাছে। তিনটি টেস্টে ভারত বিপক্ষের সামনে যথাক্রমে ২৪০, ২১২ ও ৩৭৮ রানের লক্ষ্য রেখেছিল। কিন্তু ম্যাচ বার করতে পারেনি।
দ্রাবিড় বলেছেন, ‘‘আমাদের কাছে প্রত্যেকটি ম্যাচ একটা শিক্ষা। বুঝতে হবে টেস্টের তৃতীয় ইনিংসে কেন ভাল ব্যাট করতে পারলাম না বা কেন আমরা চতুর্থ ইনিংসে বিপক্ষের ১০ জনকে আউট করতে ব্যর্থ হচ্ছি।’’ এখানেই থামেননি দ্রাবিড়, ‘‘আমাদের পরের ছ’টি টেস্ট খেলতে হবে উপমহাদেশে। দু’টি বাংলাদেশে। চারটি ভারতে। তাই সেই ম্যাচগুলো নিয়ে এখন থেকেই ভাবতে হবে। অবশ্যই কোচরা নির্বাচকদের সঙ্গে বসে এই হারের বিশ্লেষণ করবে।’’ যোগ করেন, ‘‘প্রতিটি ম্যাচের পরেই এই ধরনের বিশ্লেষণমূলক পর্যালোচনা হয়। তাই আবার টেস্ট খেলার আগে পুরোপুরি নিজেদের তৈরি করে নিতে হবে।’’
দ্রাবিড় এটা ভেবে অবাকই হচ্ছেন যে, শেষ ক’বছর ভারত যে কাজটা ভালভাবেই সম্পন্ন করছিল, তা শেষ ক’মাসে পারছে না! তাঁর বিশ্লেষণ, ‘‘কারণ অনেক। তার একটা অবশ্যই নিজেদের খেলায় তীব্রতা ধরে রাখতে না পারা। হয়তো আমাদের সর্বোচ্চ পর্যায়ের ফিটনেসও এ ক্ষেত্রে জরুরি। একই সঙ্গে টেস্টে সেরা পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতাও ফেরাতে হবে।’’ তিনি মনে করছেন, এই মুহূর্তে ভারতীয় দলে সবচেয়ে উদ্বেগের জায়গা ব্যাটিং, ‘‘শেষ তিনটি টেস্টেই তৃতীয় ইনিংসে আমাদের ব্যাটিং প্রত্যাশিত উচ্চতায় পৌঁছয়নি। দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ডে আমরা শুরুটা ভাল করেও শেষটা ভাল করতে পারিনি। অবশ্যই এই জায়গাটায় আমাদের আরও উন্নতি করতে হবে।’’
এ দিকে, প্রথম বার ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দিয়ে হারের সাক্ষী থাকতে হল যশপ্রীত বুমরাকে। ম্যাচের পরে তিনি বলেছেন, ‘‘তিন দিন সুন্দর কাটার পরেও এই পরিণতি টেস্ট ক্রিকেটের সৌন্দর্যের দিকটিই আবার দেখিয়ে গেল। আসলে ব্যাটিং ব্যর্থতার জন্য আমরা ওদের ম্যাচের উপর জাঁকিয়ে বসার সুযোগ করে দিয়েছিলাম।’’
বুমরা বলেছেন, ‘‘এখানে হারতে হলেও আমরা কিন্তু সিরিজ়টা ড্র-ও করেছি। এমনিতে গোটা সিরিজ়ে দু’দলই খুব ভাল খেলেছে। সে ভাবে দেখলে এই ফলটাই একেবারে ঠিকঠাক।’’ তিনি জানিয়েছেন, হারলেও অধিনায়কত্ব দারুণ উপভোগ করেছেন তিনি, ‘‘টিম ইন্ডিয়াকে নেতৃত্ব দেওয়াটা বিরাট সম্মানের। আমার অভিজ্ঞতাও অসাধারণ।’’