নতুন অধিনায়ক পেল অস্ট্রেলিয়া। —ফাইল চিত্র
অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট দলের অধিনায়ক হলেন প্যাট কামিন্স। আগামী অ্যাশেজ সিরিজে তিনিই অস্ট্রেলিয়া দলকে নেতৃত্ব দেবেন। সহ-অধিনায়ক হয়েছেন স্টিভ স্মিথ। যৌন কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়ার পর টিম পেন অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়েছেন। আপাতত ক্রিকেট থেকেই সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি।
কামিন্স অস্ট্রেলিয়ার ৪৭তম টেস্ট অধিনায়ক হলেন। এই প্রথম কোনও বোলার পাকাপাকি ভাবে অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট দলের নেতৃত্ব দেবেন। প্রায় দু’ বছর ধরে তিনি অস্ট্রেলিয়ার সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব সামলেছেন।
আইপিএল-এ কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলা এই জোরে বোলার বলেছেন, ‘‘সামনেই বিরাট অ্যাশেজ সিরিজ। তার আগে অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট দলের অধিনায়ক হতে পেরে আমি সম্মানিত। আশা করব গত কয়েক বছরে টিম (পেন) যে ধরনের নেতৃত্ব আমাদের দিতে পেরেছে, আমিও সেটা দিতে পারব। এই দলে আমি, স্টিভ (স্মিথ)-সহ অনেক সিনিয়র ক্রিকেটার আছে। অনেক নতুন প্রতিভাও আছে। আমরা শক্তিশালী একটা দল হিসেবেই খেলব। এটা একটা অপ্রত্যাশিত সুযোগ। এই সুযোগ পাওয়ার জন্য আমি কৃতজ্ঞ।’’
The 47th captain of the Australian men's Test cricket team! @patcummins30 pic.twitter.com/bM4QefTATt
— Cricket Australia (@CricketAus) November 26, 2021
পেন সরে যাওয়ার পরে কামিন্সের অধিনায়ক হওয়ার প্রক্রিয়াটা খুব সহজে হয়নি। পাঁচ সদস্যের প্যানেলের সামনে বসতে হয় তাঁকে। চাকরিতে ঢোকার সময় যেমন প্রার্থীকে ইন্টারভিউ দিতে হয়, তেমনই কামিন্স এবং স্মিথকেও দিতে হয়েছে। দুই নির্বাচক জর্জ বেইলি, টনি ডোডমেড, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার দুই কর্তা মেল জোন্স, রিচার্ড ফ্রেউডেনস্টাইন এবং বোর্ডের সিইও নিক হকলে এই কমিটিতে ছিলেন।
স্মিথকে সহ-অধিনায়ক করাও বড় সিদ্ধান্ত। বল বিকৃতি কাণ্ডে অভিযুক্ত হয়ে তাঁকে অধিনায়কত্ব থেকে সরে যেতে হয়েছিল। তিনি নির্বাসিত ছিলেন। কামিন্সের সহকারী হওয়ার পর স্মিথ বলেন, ‘‘দায়িত্ব পেয়ে খুশি। কামিন্সকে সব রকম ভাবে সাহায্য করব। দীর্ঘদিন ওর সঙ্গে খেলেছি। আমরা পরস্পরের ধরন সম্পর্কে জানি। আমরা খুব ভাল বন্ধুও। আপাতত আমরা অ্যাশেজের দিকে তাকিয়ে আছি।’’