(বাঁ দিকে) শাকিব আল হাসান এবং ফেরদৌস আহমেদ (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
খুনের মামলায় জড়িয়ে গেল বাংলাদেশের প্রাক্তন অধিনায়ক শাকিব আল হাসান। ঢাকার আদাবর থানায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছেন রফিকুল ইসলাম। বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় গত ৫ অগস্ট পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছিলেন তাঁর ছেলে মহম্মদ রুবেল। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় রুবেলের।
ছেলের মৃত্যুর বিচার চেয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন রফিকুল। বাংলাদেশের দৈনিক ‘প্রথম আলো’ এবং ‘ঢাকা ট্রিবিউন’এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ছেলের মৃত্যুর জন্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রাক্তন সড়ক পরিবহণ এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, অভিনেতা ফেরদৌস আহমেদ, শাকিব-সহ মোট ১৫৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছেন রফিকুল। অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৪০০-৫০০ মানুষের বিরুদ্ধেও মামলা করা হয়েছে। আদাবর থানার আধিকারিক মহম্মদ নজরুল ইসলাম খবরের সত্যতা মেনে নিয়েছেন।
রফিকুলের অভিযোগ অনুযায়ী, তাঁর ছেলে রুবেলের মৃত্যু হয়েছে শাকিব, ফেরদৌসদের নির্দেশে। অভিযুক্তদের তালিকায় ১০ নম্বরে নাম রয়েছে মাগুরা ১ আসনের আওয়ামী লিগের প্রাক্তন সাংসদ শাকিবের। ৫৫ নম্বরে রয়েছে ঢাকা ১০ আসনে আওয়ামী লিগের প্রাক্তন সাংসদ ফেরদৌসের নাম। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের প্রাক্তন শাসক দল আওয়ামী লীগ।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রফিকুল তাঁর অভিযোগে জানিয়েছেন, গত ৫ অগস্ট হাসিনা সরকারের পতন হয়। সে দিন রুবেল আদাবরের রিং রোডে মিছিলে অংশগ্রহণ করেছিলেন। সে সময় অভিযুক্তদের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ নির্দেশ, প্ররোচনা, সাহায্য এবং মদতে মিছিলের দিকে গুলি চালানো হয়েছিল। রুবেলের বুকে এবং পেটে গুলি লেগেছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ অগস্ট তাঁর মৃত্যু হয়। উল্লেখ্য, পোশাক কারখানার কর্মী ছিলেন রুবেল।