হার্দিক পাণ্ড্য। —ফাইল চিত্র।
দু’বছর গুজরাত টাইটান্সকে নেতৃত্ব দিয়ে আবার পুরনো ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে ফিরেছেন হার্দিক পাণ্ড্য। আগামী আইপিএলে তিনিই নেতৃত্ব দেবেন মুম্বইকে। গত এক দিনের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচে চোট পাওয়ার পর থেকে মাঠের বাইরে রয়েছেন হার্দিক। আইপিএলে আবার মাঠে ফিরবেন বরোদার অলরাউন্ডার। তার আগে জানালেন আইপিএলের কোনটি তাঁর জীবনের সেরা বছর।
হার্দিকের নেতৃত্বে ২০২২ সালে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল গুজরাত। ২০২৩ সালে রানার্স। তবু এই দুই মরসুমের একটিকেও সেরা হিসাবে বেছে নেননি হার্দিক। ক্রিকেটজীবনের সেরা বছর হিসাবে হার্দিক বেছে নিয়েছেন ২০১৫ মরসুমকে। সে বারই আইপিএলে প্রথম খেলেন হার্দিক। প্রথম বছরেই মুম্বইয়ের আইপিএল চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য ছিলেন তিনি। সে বার প্রথম চারটি ম্যাচ হেরে শুরু করেছিল মুম্বই। পরে ১০টির মধ্যে ন’টি ম্যাচ জিতেছিল তারা। যাতে ভূমিকা ছিল হার্দিকেরও।
আইপিএলের সম্প্রচারকারী সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হার্দিক বলেছেন, ‘‘সেই মরসুমটা দারুণ ছিল। সেই মরসুমের জন্যই এখন আমি এই জায়গায় আসতে পেরেছি। সে বারের মরসুমটা মুম্বইয়ের ছিল। আমি ভাগ্যবান যে দলের সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু অবদান রাখতে পেরেছিলাম। ব্যক্তিগত ভাবে সেরা প্রাপ্তি ছিল মরণ-বাঁচন পরিস্থিতিতে দুটো ম্যাচের সেরা ক্রিকেটার হতে পারা।’’ কথা বলার সময় বেশ উচ্ছ্বসিত দেখিয়েছে হার্দিককে। তিনি আরও বলেছেন, ‘‘সেটাই আমার জীবনের সেরা বছর। সেখান থেকেই আমার ক্রিকেট যাত্রা শুরু। গুজরাত থেকে যাওয়া সেই ছেলেটা নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়িত করতে পেরেছে।’’ ক্রিকেটার হিসাবে নিজের উত্থানের জন্য মুম্বই ফ্র্যাঞ্চাইজ়িকে কৃতিত্ব দিয়েছেন।
হার্দিক এখন রয়েছেন জামনগরে। মুকেশ অম্বানীর কনিষ্ঠ পুত্র অনন্ত অম্বানী এবং তাঁর বাগ্দত্তা রাধিকা মার্চেন্টের প্রাক্-বিবাহ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছেন। কয়েক দিন পরেই হার্দিকের মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের প্রস্তুতি শিবিরে যোগ দেওয়ার কথা। আগামী ২২ মার্চ থেকে শুরু হবে এ বারের আইপিএল। মুম্বইয়ের প্রথম ম্যাচ ২৪ মার্চ গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে। আমদাবাদে নিজের ছেড়ে আসা দলের বিরুদ্ধেই শুরু করবেন হার্দিক।