Australia vs Pakistan

এক দিনে পড়ল ১৫ উইকেট, কেপ টাউনের ছায়া সিডনিতে, ব্যাটিং বিপর্যয় অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তানের

কেপ টাউনে আয়োজিত ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্টের সঙ্গে একাধিক মিল তৈরি হল সিডনির অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তান টেস্টের। দু’দলই ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়লেও কিছুটা ভাল জায়গায় আয়োজকেরা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০২৪ ১৪:২৮
picture of Aamer Jamal

অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসে ধস নামানোর পর পাকিস্তানের আমের জামাল। ছবি: আইসিসি।

সিডনিতে তৃতীয় টেস্টে পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসের রান টপকাতে পারল না অস্ট্রেলিয়া। সফরকারীদের ৩১৩ রানের জবাবে আয়োজকদের প্রথম ইনিংস শেষ হল ২৯৯ রানে। ১৪ রানে এগিয়ে থাকার সুবিধা অবশ্য কাজে লাগাতে পারলেন না শান মাসুদেরা। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং বিপর্যয়ের ফলে সমস্যায় পাকিস্তানই।

Advertisement

কেপ টাউনে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় টেস্ট শেষ হয়েছে দেড় দিনে। তার ছায়া সিডনিতেও। শুক্রবার মোট ১৫টি উইকেট পড়ল। টেস্টের তৃতীয় দিন ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ল দু’দলই। প্যাট কামিন্সদের শেষ ৫ উইকেট পড়ল ১০ রানে। পাকিস্তানও সুবিধা কাজে লাগাতে পারল না ব্যাটারদের ব্যর্থতায়। ৬৮ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংস। সিডনির এই দুই ঘটনার সঙ্গে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞেরা মিল খুঁজে পাচ্ছেন কেপ টাউনের দুই ঘটনার সঙ্গে। ভারতের শেষ ৬ উইকেট পড়েছিল শূন্য রানে। তার থেকে কিছুটা ভাল অবস্থা অস্ট্রেলিয়ার। আবার দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংস শেষ হয়ে গিয়েছিল ৫৫ রানে। পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংসের অবস্থাও প্রায় তেমনই করুণ।

বৃহস্পতিবারের খেলা শেষ হওয়ার সময় অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসের রান ছিল ২ উইকেটে ১১৬। মার্নাস লাবুশেন ২৩ রানে এবং স্টিভ স্মিথ ৬ রানে অপরাজিত ছিলেন। শুক্রবার সকাল থেকে প্রত্যাশিত ভাবেই এগোচ্ছিল আয়োজকদের ইনিংস। লাবুশেন করেন ৬০ রান। স্মিথের ব্যাট থেকে আসে ৩৮ রান। অর্ধশতরানের ইনিংস খেললেন মিচেল মার্শও (৫৪)। উইকেটরক্ষক-ব্যাটার অ্যালেক্স ক্যারের ব্যাট থেকে এসেছে ৩৮ রান। একটা সময় অস্ট্রেলিয়ার রান ছিল ৫ উইকেটে ২৮৯। অর্থাৎ পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসের থেকে ২৪ রানে পিছিয়ে ছিল তারা। মনে করা হচ্ছিল প্রথম ইনিংসে বড় ব্যবধানে এগিয়ে যাবে আয়োজকেরা। কিন্তু তার পরেই খেলার মোড় ঘুরে যায়। পরের ২১ বলে পর পর ৫ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। ক্যারে আউট হওয়ার পর আর কোনও অসি ব্যাটার ২২ গজে দাঁড়াতে পারলেন না। মার্শ, কামিন্স (শূন্য), নাথান লায়ন (৫), জশ হ্যাজ়লউডেরা (শূন্য) পর পর আউট হলেন।

২৯৯ রানে ইনিংস শেষ হওয়ায় পাকিস্তানের থেকে ১৪ রানে পিছিয়ে থাকে আয়োজকেরা। অস্ট্রেলিয়াকে দ্রুত গুটিয়ে দেওয়ার কৃতিত্ব মূলত পাকিস্তানের অলরাউন্ডার আমের জামালের। শেষ ৫টির ৪টি উইকেট তিনিই নিলেন। অস্ট্রেলিয়ার শেষ ৪টি উইকেটই তাঁর। পাকিস্তানের সফলতম বোলারও তিনি। ৬৯ রানে ৬ উইকেট জামালের। এ ছাড়া ৪৩ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন আঘা সলমন। ৫৩ রানে ১ উইকেট মির হামজ়ার। ৭৩ রানে ১ উইকেট সাজিদ খানের।

জামালের তৈরি করে দেওয়া সুবিধা কাজে লাগাতে পারলেন না পাক ব্যাটারেরা। ওপেনার সাইম আয়ুব এবং বাবর আজ়ম ছাড়া কেউই প্রতিরোধ গড়তে পারলেন না। পাকিস্তানের চার জন ব্যাটার এ দিন শূন্য রানে আউট হয়েছেন। ভারতের মতো দ্বিতীয় বার ছয় ব্যাটারের শূন্য রানে আউট হওয়ার লজ্জার নজির স্পর্শ করে ফেলতে পারে পাকিস্তানও। আবদুল্লা শফিক (শূন্য), মাসুদ (শূন্য), সাউদ সাকিল (২), সাজিদ খান (শূন্য), সলমনেরা (শূন্য) দলকে বিপদে ফেললেন। আয়ুব করলেন ৩৩ রান। আর বাবরের ব্যাট থেকে এল ২৩। তৃতীয় দিনের শেষে অপরাজিত আছেন মহম্মদ রিজ়ওয়ান (৬) এবং জামাল (শূন্য)। পাকিস্তান এগিয়ে ৮২ রানে। অসি ব্যাটারেরা পিচে দাঁড়াতে পারলে জয়ের সুযোগ থাকবে আয়োজকদের সামনে।

শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ার সফলতম বোলার হ্যাজ়লউড। তিনি ৯ রানের বিনিময় ৪ উইকেট তুলে নিয়েছেন। স্টার্ক ১৫ রানে ১ উইকেট নিয়েছেন। এ ছাড়া লায়ন ১৬ রানে ১টি এবং ট্রাভিস হেড ৭ রানে ১ উইকেট নিয়েছেন।

আরও পড়ুন
Advertisement