(বাঁ দিক থেকে ডান দিকে) টোটা রায়চৌধুরী, কর্ণ জোহর, রণবীর সিংহ। ছবি: সংগৃহীত।
লাল আনারকলিতে নারীর পেলবতা দুই পুরুষের শরীরে। নেপথ্যে হিন্দি ‘দেবদাস’ ছবির জনপ্রিয় গান ‘ডোলা রে’। দৃশ্যায়নে নেচেছিলেন মাধুরী দীক্ষিত-ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন। পুরুষালি দৃপ্ততা সরিয়ে সেই দৃশ্যই প্রায় হুবহু আরও এক বার পর্দায় তুলে ধরেছেন টোটা রায়চৌধুরী-রণবীর সিংহ। কর্ণ জোহরের ‘রকি ঔর রানি কি প্রেম কহানি’ ছবিতে। বড় পর্দায় সেই দৃশ্য সাড়া ফেলে দিয়েছিল। কিন্তু সমাজমাধ্যমে রিল আকারে এত দিন প্রকাশ্যে আসেনি সেই দৃশ্য।
আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবসে কর্ণ জোহর সেই চর্চিত দৃশ্য নিজের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে ভাগ করে নিয়েছেন। সমাজমাধ্যমের পাতায় ভাগ করে নেওয়া সেই রিল মুহূর্তে ভাইরাল। সেখানেই আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস নিয়ে নিজের মত জানালেন পরিচালক। তাঁর লেখা অনুযায়ী, “অন্তরের মাধুরী বা ঐশ্বর্যাকে প্রকাশের সাহস দেখান যে সমস্ত পুরুষ, আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস তাঁদের জন্য।”
আন্তর্জাতিক নারী দিবস নিয়ে যত না হইহই, আন্তর্জাজাতিক পুরুষ দিবস নিয়ে ততটাই চর্চা হয়?
এই বিতর্ক চাপা পড়ে গিয়েছে কর্ণের জোরালো বক্তব্যে। ছবিতে রণবীর অভিনীত চরিত্রের পরিবারের কাছে কোনও পুরুষের নাচ ছিল হাসির উপকরণ। সেই হাসি রাগে পরিণত হয়, যখন নিজের পরিবারের ছেলেটিও নাচতে জানা পুরুষের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নেচে ওঠে। দৃশ্যে টোটা আর রণবীরের যুগলবন্দি এতটাই সহজে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে যে, কেবল ওই দৃশ্য দেখার জন্য ছবিটি বহু বার দেখেছেন অনেক দর্শক। সেই দৃশ্যকে আরও এক বার স্মরণ করিয়ে দিয়ে কর্ণের দাবি, “যাঁরা ন্যায়, সাম্য ধরে রেখে নারীর আত্মার আত্মীয় হয়ে উঠতে পারেন এই দিন তাঁদের জন্য উৎসর্গ করলাম।”
প্রযোজক-পরিচালকও তথাকথিত পুরুষালি নন, বরং অনেকাংশে মেয়েলি। সেই কারণে লিঙ্গপরিচয় নিয়ে তাঁকে কম কটাক্ষ সহ্য করতে হয় না। সে দিকেও তিনি আঙুল তুলেছেন। লিখেছেন, “নারীর ব্যাটে যে পুরুষ মাঠের বাইরে বল পাঠিয়ে নারীর ক্ষমতায়নকে কুর্নিশ জানাতে ভয় পান না, প্রত্যেক আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস কেবল তাঁর জন্যই।” কর্ণের আশা, সেই দিন আসতে খুব দেরি নেই, যে দিন পুরুষ নাচকে পেশা হিসাবে বেছে নিলে কেউ তার দিকে নেতিবাচক ইঙ্গিত করে রসিকতায় মাতবে না।