লোকেশ রাহুল এবং শুভমন গিলের মধ্যে কাকে খেলানো হবে সেই নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। —ফাইল চিত্র
টেস্টে লোকেশ রাহুল শেষ শতরান করেছিলেন ২০২১ সালের ডিসেম্বরে। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে এসেছিল সেই শতরান। শুধু প্রোটিয়াদের দেশে নয়, রাহুল শতরান করেছেন অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ়, ইংল্যান্ডের মাটিতে। লাল বলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে রাহুলের সাতটি শতরানের ছ’টিই এসেছে বিদেশের মাটিতে। কিন্তু এমন একজন ক্রিকেটারকে নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। শেষ ১০টি টেস্ট ইনিংসে রাহুলের সর্বোচ্চ রান ২৩। সাজঘরে বসে রয়েছেন শুভমন গিলের প্রতিভাবান তরুণ। এমন অবস্থায় প্রাক্তন নির্বাচক প্রধান কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্ত মনে করেন রাহুলের বিশ্রাম নেওয়া উচিত।
রোহিত শর্মা এবং রাহুল দ্রাবিড় এখনও পর্যন্ত ভরসা রেখেছেন রাহুলের উপর। কিন্তু নির্বাচকরা রাহুলকে সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, আর বেশি সুযোগ হয়তো দেওয়া হবে না তাঁকে। শ্রীকান্ত বলেন, “রাহুল যে জাতের ব্যাটার, আমি সেটাকে শ্রদ্ধা করি। আমি ওকে বলি রোলস রয়েস রাহুল। কিন্তু এই মুহূর্তে রাহুল পারছে না। আমি যদি নির্বাচক প্রধান হতাম তা হলে ওকে বলতাম কিছু দিনের জন্য বিশ্রাম নিতে।”
২০১১ সালে ভারত যখন বিশ্বকাপ জিতেছিল, সেই সময় নির্বাচকের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন শ্রীকান্ত। তিনি মনে করেন তৃতীয় টেস্টেই শুভমনকে সুযোগ দেওয়া উচিত। শ্রীকান্ত বলেন, “রাহুলের প্রতি সব রকমের সম্মান রেখেই বলছি, এ বার শুভমনকে খেলানো উচিত। এক জন ক্রিকেটার জীবনের সেরা ছন্দে রয়েছে, সেই সময় তাকে বসিয়ে রাখা উচিত নয়।” কিন্তু রাহুলের ভুলটা কোথায় হচ্ছে? শ্রীকান্ত বলেন, “রাহুলের কোনও টেকনিকাল সমস্যা আমার চোখে পড়েনি। আমার মনে হয় সমস্যাটা মানসিক। বিশ্রাম নিয়ে সেটা কাটিয়ে ফেলতে পারলেই রাহুল আবার রানে ফিরবে।”
১ মার্চ থেকে শুরু তৃতীয় টেস্ট। ইনদওরে হবে সেই ম্যাচ। ভারত ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে সিরিজ়ে। এমন অবস্থায় শুভমনকে খেলিয়ে দেখবে কি না সেই দিকে নজর থাকবে ভারতীয় সমর্থকদের। সাদা বলের ক্রিকেটে খেলার সময় শুভমন বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, তিনি ছন্দে রয়েছেন। এমন অবস্থায় তাঁকে বসিয়ে রাখা নিয়ে বার বার প্রশ্ন তুলছেন প্রাক্তনরা।