১৯৯৭ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের হয়ে খেলেছেন শোয়েব আখতার। —ফাইল চিত্র
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষ হয়েছে নভেম্বর মাসে। তিন মাস কেটে গিয়েছে তার পর থেকে। কিন্তু শাহিন আফ্রিদির একটি সিদ্ধান্ত আজও মানতে পারছেন না শোয়েব আখতার। বিশ্বকাপ ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল পাকিস্তান এবং ইংল্যান্ড। সেই ম্যাচে পুরো ৪ ওভার বল করেননি আফ্রিদি। তাঁর চোট ছিল। কিন্তু আফ্রিদির মতে, চোট নিয়েও বল করা উচিত ছিল পাকিস্তানের বাঁহাতি পেসারের।
বিশ্বকাপের ফাইনালে মাত্র ২ ওভার বল করেছিলেন শাহিন। কিন্তু তিনি বাকি ২ ওভার বল করতে না পারায় সহজেই জয়ের রান তুলে নেয় ইংল্যান্ড। হাঁটুতে চোট ছিল শাহিনের। সেই কারণেই বল করতে পারেননি তিনি। সেই দুঃখ ভুলতে পারছেন না আখতার। তিনি বলেন, “হাতে মাত্র ১২ মিনিট। শাহিনের কাছে সুযোগ ছিল দেশের নায়ক হয়ে ওঠার। বল করার সময় প্রতি বার পড়ে গেলেও উঠে দাঁড়াতে হত। আমি হলে তাই করতাম। ইঞ্জেকশন, ব্যথা কমানোর ওষুধ নিয়ে খেলতাম। হাত থেকে বিশ্বকাপ বেরিয়ে যাওয়ার থেকে মরে যাওয়া ভাল।”
১৯৯৭ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের হয়ে খেলেছেন আখতার। তিনি পাকিস্তানের জার্সিতে শেষ ম্যাচ খেলেছিলেন ২০১১ সালের বিশ্বকাপে। একাধিক বিশ্বকাপে খেলা আখতার বলেন, “আমার হাঁটু ভেঙে গেলে সেটা সারানো সম্ভব, কিন্তু বিশ্বকাপ জয়ের সুযোগ ফেরানো যায় না। এমন অবস্থায় আমি হলে বল করতাম।” শাহিন আফ্রিদি ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের হয়ে সব থেকে বেশি উইকেট নেন। ১১টি নেন তিনি। কিন্তু ফাইনাল ম্যাচটি দেশকে জেতাতে পারেননি।
বিশ্বকাপে পাকিস্তান শুরু করেছিল ভারতের বিরুদ্ধে হেরে। যদিও শেষ পর্যন্ত বিরাট কোহলিরা সেমিফাইনালে হেরে যান। পাকিস্তান ফাইনালে ওঠে। কিন্তু জিততে পারেনি। জস বাটলাররা ট্রফি জিতে নেন।