বেন স্টোকস। —ফাইল চিত্র।
বদলে গিয়েছে ইংল্যান্ডের ক্রিকেট দর্শন। টেস্টে তারা আর সময় নিয়ে ধীরে খেলার নীতিতে বিশ্বাস করে না। আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলে। নাম ‘বাজ়বল’ (ইংল্যান্ডের কোচ ব্রেন্ডন ম্যাকালাম আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলাচ্ছেন দলকে। যে হেতু তাঁর ডাকনাম ‘বাজ়’, ইংল্যান্ডের ক্রিকেটকে বাজ়বল বলা হচ্ছে।) আর এই ধরনের ক্রিকেট খেলতে গিয়ে নাকি ম্যাচের আগে নিজেদের মধ্যে আর কথা বলছেন না ক্রিকেটারেরা। এমনটাই জানিয়েছেন জো রুট।
সম্প্রচারকারী চ্যানেলে রুট বলেন, ‘‘আমরা এখন আর টিম মিটিং করি না। ম্যাচের আগে কেউ কারও সঙ্গে আলোচনা করি না। যেটা করি সেটা হল বেশি কথা না বলে মাঠে নেমে খেলা উপভোগ করা। আমরা একসঙ্গে সময় কাটাই। কিন্তু সেখানে খেলা নিয়ে বেশি কথা হয় না।’’
রুটের মতে, দলের ক্রিকেটারেরা এখন একটি পরিবারের মতো থাকেন। সেখানে যে কোনও সময় আলোচনা করা যায়। আলাদা করে মিটিং করার প্রয়োজন পড়ে না। রুট বলেন, “আলাদা করে বসার প্রয়োজন পড়ে না। দলের সবাই একসঙ্গে প্রাতরাশ সারি। একসঙ্গে বসে মধ্যাহ্নভোজ করি। তখন কথা হয়। এক কাপ কফি নিয়েও আলোচনা করা যায়। এখন আমরা এই নীতিতে বিশ্বাস করি।’’
‘বাজ়বল’ খেলে হায়দরাবাদে প্রথম টেস্টে জিতেছিল ইংল্যান্ড। সেই একই ধারার ক্রিকেট খেলতে গিয়ে বিশাখাপত্তনমে হেরেছে তারা। তাতে তাদের খেলার ধরন বদলাবে না বলেই জানিয়েছেন রুট। তিনি বলেন, “খেলার ফল যাই হোক না কেন আমরা আগামী দিনেও এ ভাবেই খেলব। এ ভাবে খেলেই আমরা সাফল্য পেয়েছি। এটাই আমরা সব থেকে ভাল পারি। দলের সবাই আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে ভালবাসে। তা হলে কেন একটা টেস্ট হেরে যাওয়ায় খেলার ধরন বদলাতে যাব?”
ভারত-ইংল্যান্ড পাঁচ টেস্টের সিরিজ় এখন ১-১ রয়েছে। ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে গুজরাতের রাজকোটে শুরু হবে তৃতীয় টেস্ট। পরের দুই টেস্ট যথাক্রমে রাঁচী ও ধর্মশালায়।