এ বারও আইপিএলে দল পেলেন না শাকিব। ফাইল ছবি।
আইপিএলে দল পেলেন না শাকিব আল হাসান। বাংলাদেশের টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের নাম ডাকা হলেও আগ্রহ দেখাল না আইপিএলের কোনও ফ্রাঞ্চাইজ়ি। আগের বারও আইপিএলের নিলামে কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি নেয়নি শাকিবকে।
ভারতের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে শুক্রবার ৪ উইকেট নিয়েছেন ৩৫ বছরের অলরাউন্ডার। তবু আইপিএলের কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডারকে নিয়ে আগ্রহ দেখাল না। ফলে এ বারও আইপিএল খেলা হচ্ছে না শাকিবের। নিলামে তাঁর নূন্যতম দাম ছিল ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা। ২০০৯ এবং ২০১০ সালের আইপিএল নিলামেও দল পাননি শাকিব। শুক্রবারের নিলামে প্রথমে দল পেলেন না ভারতের বিরুদ্ধে এক দিনের সিরিজ়ে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেওয়া লিটন দাসও। পরে তাঁকে ৫০ লাখ টাকায় দলে নেয় কলকাতা নাইট রাইডার্স। দল পেলেন না বাংলাদেশের জোরে বোলার তাসকিন আহমেদও। তাঁদের নূন্যতম দাম ছিল ৫০ লাখ টাকা। উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক সূচির জন্য বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা এ বার পুরো আইপিএল খেলতে পারবেন না। সে কারণেই বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের দলে নিতে তেমন আগ্রহী দেখায়নি ফ্র্যাঞ্চাইজ়িগুলি। তা ছাড়া গত এক বছর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের পারফরম্যান্সও তেমন উল্লেখযোগ্য নয়। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের নিয়ে অনাগ্রহের সেটাও অন্যতম কারণ বলে মনে করা হচ্ছিল।
২০১১ থেকে ২০১৭ এবং ২০২১ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে আইপিএল খেলেছেন শাকিব। ২০১৮ এবং ২০১৯ মরসুমে শাকিব ছিলেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ক্রিকেটার। ২০২১ সালে শাকিব নিজের ন্যূনতম মূল্য রেখেছিলেন ২ কোটি টাকা। তাঁকে ৩ কোটি ২০ লাখ টাকা দিয়ে দলে নিয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। ২০১১ সালের নিলামে প্রথম বার তাঁকে ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকায় দলে নেয় কলকাতা ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি। ২০১৪ সালের নিলামে তাঁকে আবার দলে নেয় কলকাতা। সে বারের নিলামে শাকিবের দাম উঠেছিল ২ কোটি ৮০ লাখ টাকা। ২০১৭ সালের পর শাকিবকে কলকাতা ছেড়ে দেওয়ার পর ২০১৮ সালের নিলামে তাঁকে ২ কোটি টাকা দিয়ে দলে নেয় হায়দরাবাদ ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি।
২০১১ সালের ১৫ এপ্রিল রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে আইপিএলে অভিষেক হয় তাঁর। এখনও পর্যন্ত আইপিএলে ৭১টি ম্যাচ খেলেছেন শাকিব। মোট ৭৯৩ রান করেছেন। উইকেট নিয়েছেন ৬৩টি। তাঁর সর্বোচ্চ অপরাজিত ৬৬ রান। সেরা বোলিং ১৭ রানে ৩ উইকেট।
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাফল্যের জন্য অভিজ্ঞ অলরাউন্ডারের দিকে তাকিয়ে থাকলেও, তাঁর উপর ভরসা করতে পারল না আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজ়িগুলি। ম্যাচ গড়াপেটার প্রস্তাব পাওয়ার কথা গোপন করায় শাকিবকে এক বছরের জন্য নির্বাসিত করেছিল আইসিসি। সে কারণে ২০২১ সালের আইপিএলের মাঝপথেই দেশে ফিরে যেতে বাধ্য হন শাকিব।