(বাঁ দিকে) মর্নি মর্কেল। গৌতম গম্ভীর (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।
অস্ট্রেলিয়া সিরিজ় ১০ দিন আগে শেষ হলেও ভারতীয় শিবিরে বিতর্ক থামার নামগন্ধ নেই। বুধবার নতুন তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। জানা গিয়েছে, অনুশীলনে দেরি করে আসার জন্য বোলিং কোচ মর্নি মর্কেলকে মাঠেই ধমক দিয়েছিলেন কোচ গৌতম গম্ভীর। শুধু তা-ই নয়, সাপোর্ট স্টাফদের পারফরম্যান্স বোর্ডের নজরে রয়েছে বলে খবর। অনেকেরই ডানা ছাঁটা হতে পারে।
গম্ভীর কোচ হওয়ার পর নিজেই বেছে নিয়েছিলেন তাঁর সাপোর্ট স্টাফ। বোলিং কোচ পদে এক ভারতীয়কে পছন্দ হলেও গম্ভীরের চাপে মর্কেলকে নেয় বোর্ড। সেই প্রোটিয়া বোলারকেই ধমকেছিলেন গম্ভীর। সফরের শুরুর দিকে একটি অনুশীলনে দেরি করে এসেছিলেন মর্কেল। মাঠেই তাঁকে কড়া কথা বলেছিলেন গম্ভীর।
বোর্ডের এক কর্তা বলেছেন, “শৃঙ্খলার ব্যাপারে গম্ভীর খুব কড়া। মাঠেই মর্কেলকে সতর্ক করে দিয়েছিল। বোর্ড জানতে পেরেছে, সফরের বাকি সময় মর্কেল বেশ চুপচাপ ছিল। তবে এই বিষয়টা ওদের দু’জনকেই মিটিয়ে ফেলতে হবে যাতে দল মসৃণ ভাবে এগোয়।”
দলের সাপোর্ট স্টাফেরা কেমন কাজ করছেন সে ব্যাপারে সিনিয়র ক্রিকেটারদের মতামত চেয়েছে বোর্ড। ওই সূত্রের দাবি, “অভিষেক নায়ার সবচেয়ে কড়া নজরে রয়েছেন। বোর্ড ক্রিকেটারদের জিজ্ঞাসা করেছে যে, নায়ারের পরিকল্পনায় আলাদা কোনও বিষয় রয়েছে কি না। একই ভাবে রায়ান টেন দুশখাতের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতার অভাব এবং ভাল মানের ক্রিকেটারদের উন্নতিতে অবদান রাখতে না পারার কারণে ওকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হতে পারে।”
কিছু সাপোর্ট স্টাফের চুক্তির মেয়াদ কমিয়ে দু’-তিন বছর করা হতে পারে। কারণ বোর্ডের ধারণা, তাঁরা দীর্ঘ দিন থাকলেও দলের কোনও লাভ হয়নি।
উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়া সফরের পর কোচেদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন সুনীল গাওস্কর। বলেছিলেন, “কোচেরা কী করছে? নিউ জ়িল্যান্ডের কাছে আমরা ৪৬ রানে অল আউট হয়ে গিয়েছিলাম। তখনই বোঝা গিয়েছিল দলের ব্যাটারদের কী অবস্থা। তা হলে অস্ট্রেলিয়া সিরিজ়ের আগে কোচেরা কী করল। কেন কোনও উন্নতি হল না? এই প্রশ্ন কোচদের কেন করা হবে না। কোচদের পারফরম্যান্সেরও বিচার করতে হবে।”
তিনি আরও বলেছিলেন, “ভাল বোলারদের কী ভাবে সামলাতে হবে সেই পরিকল্পনা করেনি কোচেরা। ওরা ব্যাটিং অর্ডার বদলেছে। এখন মনে হচ্ছে, ব্যাটিং অর্ডার না বদলে কোচেদেরই বদলে ফেলা উচিত। সামনে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আছে। তার পরে ইংল্যান্ড সফর আছে। সেখানে কী ভাবে ভারত ভাল খেলবে? থ্রো-ডাউন করিয়ে হবে না। টেকনিক ও মানসিকতা দু’ক্ষেত্রেই বদল দরকার।”