মেয়ে সামাইরার সঙ্গে রোহিত শর্মা। —ফাইল চিত্র
বিশ্বকাপের মাঝেই একটি অন্য চিন্তা রোহিত শর্মার মাথায়। সেটি হল মেয়ে সামাইরার ভবিষ্যৎ। কারণ, মুম্বইয়ের দূষণ আতঙ্কে রেখেছে তাঁকে। সেই কারণে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগেও তাঁর মুখে উঠে এসেছে মুম্বইয়ের দূষণের কথা। দ্রুত এই সমস্যার সমাধান চাইছেন ভারত অধিনায়ক।
শ্রীলঙ্কা ম্যাচের আগের দিন সাংবাদিক বৈঠকে রোহিত বলেন, ‘‘এই পরিস্থিতি মোটেও ভাল নয়। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম, আমার-আপনার সন্তানদের জন্য কী রেখে যাচ্ছি আমরা? ওরা যেন কোনও ভাবে আতঙ্কে না বাঁচে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বাঁচাতে হবে আমাদের।’’ তবে সেই সঙ্গে রোহিত আশাবাদী যে সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে। তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি নিশ্চিত যে অনেকেই এই পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তা করছেন। কী ভাবে সমস্যার সমাধান করতে হবে সেই চেষ্টা করছেন তাঁরা। আশা করি, দ্রুত আগের পরিস্থিতি দেখতে পাব।’’
শ্রীলঙ্কা ম্যাচের আগে মুম্বই যাওয়ার সময় বিমান থেকেও সেখানকার দূষণ দেখে আঁতকে উঠেছিলেন রোহিত শর্মা। সে কথা নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে দিয়েছিলেন ভারত অধিনায়ক। লিখেছিলেন, ‘‘মুম্বই, এ কী অবস্থা তোমার?’’ আরও এক বার সেই কথা তুললেন তিনি।
এই পরিস্থিতিতে দূষণ যাতে না বাড়ে তার জন্য পদক্ষেপ করেছে বিসিসিআই। মুম্বই ও দিল্লিতে বিশ্বকাপের যে ম্যাচগুলি রয়েছে সেখানে আতশবাজির প্রদর্শনী হবে না। দিল্লি ও মুম্বইয়ে দূষণের মাত্রা এতটাই বেশি যে সেখানে আতশবাজি ফাটিয়ে আর দূষণ বাড়াতে চাইছে না বোর্ড।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সচিহ জয় শাহ নিজে আইসিসির সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘‘মুম্বই ও দিল্লির পরিবেশ নিয়ে বিসিসিআই চিন্তিত। আমি বোর্ডের তরফ থেকে এই বিষয়টা আইসিসিকে জানাই। ওরা সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই দুই মাঠে খেলার সময় আতশবাজির প্রদর্শনী হবে না। পরিবেশে দূষণ যাতে আর না বাড়ে তার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’
বিশ্বকাপে মুম্বইয়ে এখনও তিনটে ম্যাচ বাকি। বৃহস্পতিবার ভারত-শ্রীলঙ্কা ও ৭ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়া-আফগানিস্তান ম্যাচ রয়েছে। একটি সেমিফাইনালও হবে সেখানে। দিল্লিতে বাকি আর একটিই ম্যাচ। ৬ নভেম্বর সেখানে মুখোমুখি বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা। এই চারটি ম্যাচে আতশবাজির প্রদর্শনী হবে না।