Jasprit Bumrah

চোট পর্ব অতীত, ১১ মাস পর মাঠে ফিরে বুমরার পাখির চোখ এখন শুধুই বিশ্বকাপ

আয়ারল্যান্ড বা এশিয়া কাপ নয়, বুমরার লক্ষ্য শুধুই বিশ্বকাপ। এই বছর অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতের মাটিতেই হবে বিশ্বকাপ। সেই প্রতিযোগিতায় নামার জন্য ছটফট করছেন বুমরা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০২৩ ২১:২৭
Jasprit Bumrah

যশপ্রীত বুমরা। ছবি: টুইটার।

১১ মাস পর আবার ভারতীয় জার্সিতে মাঠে নামবেন যশপ্রীত বুমরা। এশিয়া কাপের আগে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলে নিজেকে পরীক্ষা করে নেবেন তিনি। তবে আয়ারল্যান্ড বা এশিয়া কাপ নয়, বুমরার লক্ষ্য শুধুই বিশ্বকাপ। এই বছর অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতের মাটিতেই হবে বিশ্বকাপ। সেই প্রতিযোগিতায় নামার জন্য ছটফট করছেন বুমরা।

Advertisement

গত বছর সেপ্টেম্বরে পিঠের ব্যথার কারণে ক্রিকেটের বাইরে চলে যান বুমরা। অস্ত্রোপচার হয় তাঁর। চোট সারিয়ে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধেই মাঠে ফিরছেন তিনি। শুধু বোলার নয়, অধিনায়ক হিসাবেও আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে দেখা যাবে বুমরাকে। শুক্রবার টস করবেন তিনি। বুমরা বলেন, “এক দিনের বিশ্বকাপের আগে কোনও টেস্ট নেই। আমি শুধু টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার জন্য নিজেকে তৈরি করিনি। আমার লক্ষ্য সব সময়ই এক দিনের বিশ্বকাপ। সেটার জন্যই নিজেকে তৈরি করেছি। আমি ১০ থেকে ১৫ ওভার বল করেছি নিয়মিত। অনুশীলনে বেশি ওভার বল করলে অল্প ওভার বল করতে অসুবিধা হবে না। এক দিনের ম্যাচ খেলার জন্য নিজেকে তৈরি রাখছি। শুধু চার ওভার বল করব বলে ফিরিনি।”

অনুশীলনে নিজেকে উজাড় করে দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন বুমরা। ২৯ বছরের পেসার বলেন, “কে আমার থেকে কী আশা করছে, সেটা নিয়ে আমি ভাবছি না। আমি শুধু উপভোগ করতে চাই। এত দিন ধরে ক্রিকেটের বাইরে কখনও থাকিনি। যে খেলাটাকে ভালবাসি, সেটার জন্যই ফিরে এসেছি। ১১ মাস আগেও যেমন ছিলাম, এখনও তেমনই আছি। নিজের উপর আত্মবিশ্বাস আছে। জানি অনেক দিন পর মাঠে ফিরছি। কিন্তু মাঠে ফিরে আমি খুশি। জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে অনেকটা সময় কাটিয়েছি। এখন আমি সুস্থ। মাঠে নামার জন্য মুখিয়ে আছি।”

এত দিন ধরে মাঠের বাইরে থাকা যে খুব যন্ত্রণার, সেটাও জানিয়েছেন বুমরা। তিনি বলেন, “খুব হতাশ লাগে যখন চোট সারতে এত সময় লাগে। আমি আত্মবিশ্বাস হারাইনি। চেষ্টা করছিলাম কী ভাবে দ্রুত মাঠে ফেরা যায়। শরীরকে সময় দেওয়া প্রয়োজন। এই ১১ মাসকে কখনও জীবনের খারাপ সময় হিসাবে দেখিনি। লোকে কী বলছে সেটা নিয়ে ভাবিনি। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটিয়েছি। ইতিবাচক মানসিকতা ছিল আমার। তবে ক্রিকেট থেকে দূরে থাকার কষ্টটা বুঝতে পেরেছি।”

আরও পড়ুন
Advertisement