কেন এই মুহূর্তে টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বের এক নম্বর ব্যাটার, সেটা বুঝিয়ে দিলেন সূর্যকুমার যাদব। ফাইল ছবি
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ের প্রথম দু’টি ম্যাচে চেনা ছন্দে পাওয়া যায়নি তাঁকে। পুণেতে অর্ধশতরান করেও দলকে জেতাতে পারেননি। শনিবার রাজকোটে তৃতীয় ম্যাচে কোনও আক্ষেপ রাখলেন না সূর্যকুমার যাদব। কেন এই মুহূর্তে টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বের এক নম্বর ব্যাটার, সেটা বুঝিয়ে দিলেন তিনি। শ্রীলঙ্কার বোলারদের গুঁড়িয়ে শতরান করলেন মাত্র ৪৫ বলে। টি-টোয়েন্টিতে তৃতীয় শতরান হয়ে গেল তাঁর। রোহিত শর্মার সবচেয়ে বেশি ৪টি অর্ধশতরান রয়েছে। তার পরেই চলে এলেন সূর্য। এ ছাড়া তিনটি করে শতরান রয়েছে কলিন মুনরো এবং গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের।
ঐতিহ্যশালী স্টেডিয়াম লর্ডসের আদলে রাজকোটেও একই রকম প্রেসবক্স রয়েছে। অনেকেই তাই এই স্টেডিয়ামকে ‘মিনি লর্ডস’ বলে ডাকেন। সেখানেই মহাতাণ্ডব দেখা গেল সূর্যকুমারের। এ দিন রাহুল ত্রিপাঠী আউট হওয়ার পর নামেন। প্রথম দিকেই ছিলেন খুনি মেজাজে। শ্রীলঙ্কার কোনও বোলারদেরই দাঁড়াতে দেননি। যে-ই সামনে এসেছেন, উড়ে গিয়েছেন মাঠের বাইরে। শটের বৈচিত্র দেখলে অবাক হতে হয়। এমনিতেই হাতে তাঁর শটের ফুলঝুরি। এ দিন তা আতসবাজি হয়ে মাঠের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ল। একটা সময় এমন ছিল, যখন বাউন্ডারি থেকে বল কুড়িয়ে আনা ছাড়া কোনও কাজ ছিল না শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটারদের। অধিনায়ক দাসুন শনাকা যেখানেই ফিল্ডার রাখছিলেন, তার উল্টো দিক দিয়ে শট মারছিলেন সূর্য।
Sound 🔛😍
— BCCI (@BCCI) January 7, 2023
SKY on the charge! 👌👌#TeamIndia | #INDvSL | @surya_14kumar | @mastercardindia pic.twitter.com/uG7AVXUoTj
স্কুপ মারতে গিয়ে পড়ে খেলেন হুমড়ি খেয়ে, তবু বল পেরিয়ে গেল বাউন্ডারি। চামিকা করুণারত্নের বলে তরোয়াল চালানোর মতো ব্যাট ঘোরালেন। বল থার্ডম্যানের উপর দিয়ে ছয় হয়ে গেল। এগিয়ে এসে ওয়ানিন্দু হাসরঙ্গকে মাঠের বাইরে পাঠালেন। শ্রীলঙ্কার কোনও বোলারই তখন দিশা খুঁজে পাচ্ছেন না। উল্টো দিকে দাঁড়িয়ে থাকা শুভমন গিল দাঁড়িয়ে ছিলেন দর্শকের মতো। চুপচাপ দেখছিলেন সূর্যের তাণ্ডব। নিজে অর্ধশতরান হাতছাড়া করলেও যোগ্য সঙ্গত দিলেন সূর্যকে।
ম্যাচের পর হাসি থামছিলই না সূর্যের। তার মধ্যেই বললেন, “যে ভাবে খেলেছি তাতে খুবই খুশি। অধিনায়ক টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং নিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে যে ব্যাটারদের উপর ওর কতটা আশ্বাস রয়েছে। কিছু কিছু শট খেলার ব্যাপারে আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছিলাম। বাকি যে শটগুলো খেলেছি, সেগুলো গত এক বছর ধরেই খেলে চলেছি। আলাদা করে কিছুই প্রস্তুতি নিইনি। ২০২২-য়ে কী ভাবে খেলেছি সেটা মাথায় রাখছি না। ওটা আমার কাছে অতীত। ২০২৩-এ সব নতুন করে শুরু করেছি। আশা করি গোটা বছরটা এ ভাবেই খেলে যেতে পারব।”