অর্ধশতরানের পর সূর্যকুমার। ছবি বিসিসিআই
তিনি মাঠে নামলেই ঝড় ওঠে স্টেডিয়ামে। বল উড়ে যায় নানা প্রান্তে। বুক কাঁপতে থাকে বোলারদের। রবিবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সেটাই আর এক বার দেখা গেল। প্রথম থেকেই রুদ্রমূর্তি ধারণ করলেন সূর্যকুমার যাদব। উল্টো দিক থেকে দেখা বিরাট কোহলির পক্ষে তারিফ করা ছাড়া আর কোনও কাজ ছিল না। মাঠ যা-ই হোক, পরিস্থিতি যা-ই হোক, সূর্যের ব্যাট যে থামবে না, এটা দলের কাছে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে।
রবিবার ম্যাচের পর সূর্য জানিয়েছেন, প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক খেলার পরিকল্পনা করে এসেছিলেন। বলেছেন, “আমরা প্রথমে ব্যাট করছিলাম। তাই শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাট করার কথা ভেবে রেখেছিলাম। ক্রিজে নিজের সময়টা উপভোগ করেছি।”
গুয়াহাটিতে রবিবার প্রচণ্ড গরম ছিল। তা ছাড়া, এই মাঠে রানের গড়ও খুব একটা ভাল ছিল না। রবিবার সব হিসাবই ধুয়েমুছে গেল। দুই দলই দুশোর উপর রান তুলেছে। তবে সূর্য জানিয়েছেন, এই মাঠে কবে কী রান হয়েছে, সে সব মাথাতেই রাখেননি তিনি।
বলেছেন, “অতীতের কোনও পরিসংখ্যানের কথা আমার মাথায় ছিল না। চেয়েছিলাম বেশি সময় ধরে ক্রিজে থাকতে এবং রান করতে। সেই কাজে সফল হয়েছি।” চলতি সিরিজ়ে দু’টি অর্ধশতরান হয়ে গিয়েছে সূর্যের। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তিনিই ভারতের মূল ভরসা বলে মনে করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।