কপালে চিন্তার ভাঁজ রোহিত শর্মার। ফাইল ছবি
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজ় জেতা আগেই হয়ে গিয়েছিল। নিয়মরক্ষার শেষ ম্যাচে এসে হারতে হল রোহিত শর্মাদের। হোয়াইট ওয়াশ করা গেল না প্রোটিয়াদের। কেন হারতে হল ভারতকে? সাত কারণ খুঁজল আনন্দবাজার অনলাইন।
এক, মাঠ, উইকেট, বিপক্ষের বোলিং, বিপক্ষের ফিল্ডিং যা-ই হোক না কেন, ঘাড়ের উপর ২২৭ রানের বোঝা থাকলে ম্যাচ বার করা খুব কঠিন। ভারতেরও সেটাই হয়েছে।
দুই, পাঁচ ওভারের মধ্যে তিনটি উইকেট হারিয়ে শুরুতেই পিছনের পায়ে চলে যায় ভারত। দ্বিতীয় বলেই রোহিত শর্মা ফিরে যান। কোনও রান করতে পারেননি ভারত অধিনায়ক। পরের ওভারে ফিরে যান শ্রেয়স আয়ার। ভারত বড় ধাক্কা খায় পঞ্চম ওভারে ঋষভ পন্থ ফিরে যাওয়ায়। তিনি তখন সবে মারতে শুরু করেছিলেন। সপ্তম ওভারে দীনেশ কার্তিক আউট হয়ে যাওয়ায় আরও বড় ধাক্কা খায় ভারত। ওই সময় কার্তিককে থামানো যাচ্ছিল না। পরের ওভারে ফিরে যান সূর্যকুমার যাদবও। আট ওভারের মধ্যে ভারতের অর্ধেক ইনিংস শেষ হয়ে যায়। তখন ১০০ রানও পেরোয়নি ভারত।
তিন, একটিও বড় জুটি তৈরি করতে পারেনি ভারত। সব থেকে বেশি ৪১ রান ওঠে তৃতীয় উইকেটে। আর একটিও বলার মতো জুটি হয়নি ভারতের।
চার, হর্ষল পটেল এই ম্যাচেও ব্যর্থ। তাঁর চার ওভারে ৪৯ রান ওঠে। একটিও উইকেট পাননি তিনি।
পাঁচ, আগের দুই ম্যাচে দারুণ বল করেছিলেন দীপক চাহার। এই ম্যাচে তিনি ভাল বল করতে পারেননি। আগের দু’টি ম্যাচেই চার ওভারে মাত্র ২৪ রান দেওয়া চাহার এই ম্যাচে শুধু শেষ ওভারেই ২৪ রান দিয়ে দেন।
ছয়, শুরুতে কাগিসো রাবাডা এবং মাঝে কেশব মহারাজ— দক্ষিণ আফ্রিকার এই দুই বোলারকে খেলতেই পারেনি ভারত।
সাত, মঙ্গবার ভারতের ফিল্ডিং ভাল হয়নি। বিশেষ করে বাউন্ডারির ধারে দাঁড়িয়ে মহম্মদ সিরাজ বেশ কিছু রান গলান, ক্যাচও ফেলেন।